মোঃ মাহতাব হাওলাদার, মহিপুর প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নিখোঁজের দুইদিন পর মো. সবুজ হাওলাদার (২৩) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে কুয়াকাটা পৌরসভার শরীফপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ির পেছনের ঝোপঝাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া গেছে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
নিহত সবুজ হাওলাদার কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শরীফপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল বাশার হাওলাদারের ছেলে। মাত্র ৯ মাস আগে তার বিয়ে হয়েছিল।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেলে সাগর পাড়ে যাওয়ার পথে কয়েকজন যুবক ঝোপের মধ্যে দুর্গন্ধ পেয়ে এগিয়ে যান। একপর্যায়ে তারা সবুজের মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ হাসান বলেন, “নিহতের গলায় গামছা প্যাঁচানো ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি।”
নিহতের বোন মনিরা আক্তার জানান, সবুজের স্ত্রীর সঙ্গে দুই দিন আগে পারিবারিক কলহের জেরে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তার স্ত্রীকে চড় মারলে স্ত্রীর ভাই এসে সবুজকে হুমকি দিয়ে যায়। এরপর স্ত্রী আমেনা তার বাবার বাড়ি চলে যায়, সঙ্গে সবুজও যায় বলে ধারণা করা হয়। “আমরা ভেবেছিলাম সে শ্বশুরবাড়িতেই আছে। কিন্তু আজ শুনলাম, তার মরদেহ পরিত্যক্ত বাগানে পড়ে আছে।”
প্রত্যক্ষদর্শী বেল্লাল হোসেন বলেন, “আমি সাগরপাড়ে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ চিৎকার শুনে সেখানে যাই। দেখি লাশ ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে। দুর্গন্ধের কারণে কেউ কাছে যাচ্ছিল না।”
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহিপুর থানার কর্মকর্তারা।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোক ও আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত ও তদন্তের ভিত্তিতে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।