শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

জুলাই যোদ্ধা আব্বাস উদ্দিনকে হত্যার হুমকি ও জমি দখলের চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনের সাহসী অংশগ্রহণকারী ‘জুলাই যোদ্ধা’ আব্বাস উদ্দিন আজ স্বাধীন দেশে নিজের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য লড়াই করছেন। তাঁর অভিযোগ— প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তির সাথে আঁতাত করে স্থানীয় এক সন্ত্রাসী চক্র পরিকল্পিতভাবে তাঁর জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং প্রকাশ্যে তাঁকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

সাক্ষ্য থেকে হুমকির সূত্রপাত-ঘটনার সূত্রপাত ২০২৫ সালের ২৫এপ্রিল। সেদিন আব্বাস উদ্দিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সাক্ষ্য দেন। এরপর ৩০মে ২০২৫ তারিখে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চিহ্নিত ভূমিদস্যু মোস্তফা কামালের নানা অপরাধ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই আব্বাস উদ্দিনের প্রতি হুমকির মাত্রা বেড়ে যায়।

রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় জমি দখলের চেষ্টা-স্থানীয় সূত্রের দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনের গোপন সমর্থনে এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে আব্বাস উদ্দিনের মালিকানাধীন জমি দখলের পরিকল্পনা করছে। পুলিশ কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

অস্ত্রধারীদের হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি-সবশেষ ৯আগস্ট ২০২৫ দুপুরে মোস্তফা কামালের শ্যালক উজ্জ্বল খান, সহযোগী আব্দুর রহিম এবং একাধিক হত্যা মামলার আসামি কালা কামালের নেতৃত্বে প্রায় ৪০-৫০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দলবদ্ধ হয়ে আব্বাস উদ্দিনের জমিতে প্রবেশ করে দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় তাঁকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং আব্বাস উদ্দিনের পরিবার গভীর আতঙ্কে পড়ে।

আব্বাস উদ্দিনের ক্ষোভ-
“জীবন দিয়ে দেশের জন্য লড়েছি। আজ স্বাধীন দেশে নিজের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করতেই লড়াই করতে হচ্ছে। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে আমার মতো মুক্তিযোদ্ধারা আরও বিপদে পড়বে।”

নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার, ক্ষোভে এলাকাবাসী-এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং আব্বাস উদ্দিন ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নইলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

থানায় জিডি, তবুও পুলিশের নীরবতা- ঘটনার পর ১০আগস্ট ২০২৫ আব্বাস উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা আক্তার ডেমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যার নম্বর ৬৩৩। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানার পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।

আরো পড়ুন

মায়ের কিডনি দিয়েও বাঁচানো গেল না ছেলের জীবন

সাকী মাহবুব পাংশা প্রতিনিধি।। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মুছিদাহ গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে শোকের ছায়া। মৃত্যুর কাছে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *