কাঁচাবাজারে আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) থেকে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারের এই নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ কথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে কঠোর মনিটরিং চালু হচ্ছে। পাশাপাশি পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এর আগে ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপগুলোতে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি কোনো সুপারশপ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে, তবে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও আইন অনুবিভাগ) তপন কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের দল পলিথিন ব্যবহার বন্ধের অভিযান তদারকি করছে।
আজ সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে এবং আগামী রোববার থেকে এই অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
এদিকে, রাজধানীর সুপারশপগুলোতে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যদিও এসব ব্যাগের সরবরাহ পর্যাপ্ত নয় বলে জানা গেছে।
গত ২৭ অক্টোবর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে কঠোর মনিটরিং ও অভিযান চালানো হবে।
২০০২ সালে বাংলাদেশে বিষাক্ত পলিথিন উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু দেশে পলিথিনের ব্যবহার তখন থেকে কমেনি। বরং গত দুই দশক ধরে এর উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সালে সরকার নতুন একটি আইনও করেছে, কিন্তু তা বাস্তবায়নে তেমন সফলতা দেখা যায়নি।