বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি।।
ভোলার বোরহানউদ্দিনের ঐতিহ্যবাহী হাকিমুদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসায় ঘটেছে বড় ধরনের উপবৃত্তি কেলেঙ্কারি। প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারি কামাল উদ্দিন মিরাজ অভিযোগের কেন্দ্রে।
মাত্র ১২হাজার টাকায় চাকরি শুরু করে চার বছরে তিনি হয়েছেন কোটিপতি। তদন্তে বেরিয়েছে, তিনি তিন শতাধিক ভুয়া শিক্ষার্থীর নামে উপবৃত্তির টাকা তুলে নিয়েছেন, যার পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা।
OTP কোড ব্যবস্থার ফাঁক ব্যবহার করে প্রিন্সিপালের অজ্ঞাতসারে তিনি অনুমোদন নিতেন বলে দাবি তদন্ত কমিটির। সরকারি ওয়েবসাইটে দেখানো হয় ৭৫০জন শিক্ষার্থী, বাস্তবে ছিলেন মাত্র ৪৫০জন।
কামালের নামে এখন দোতলা বাড়ি ও ৩০ শতাংশ জমি। স্থানীয়রা বলছেন, “একসময় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন, এখন গাড়ি চড়েন।”
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, তদন্তে জাল নথি, নকল অভিভাবক তথ্য ও ভুয়া রেজিস্ট্রেশনের প্রমাণ মিলেছে। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অভিভাবকদের ক্ষোভ যেখানে শিক্ষার আলো ছড়ানোর কথা, সেখানে দুর্নীতির অন্ধকারে ডুবে গেছে মাদ্রাসা।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।