বানারীপাড়া প্রতিনিধি।।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সন্ধ্যা নদীতে স্পীড বোটের চালকের আগুনে পুড়ে আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। বানারীপাড়া উপজেলা মৎস দপ্তরের মাধ্যমে জানা গেছে গত ১৯অক্টোবর রাত আনুমানিক ১.৩০মিনিটের দিকে মা ইলিশ নিধন রোধে অভিযান চলাকালে সন্ধ্যা নদীতে উপজেলা মৎস দপ্তরের লোকবল নিয়ে টহল চলাকালীন সময়ে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত স্পীড বোটের চালক মোঃ ফাইজুল’র (২৬)বাড়ি ভোলা সদর উপজেলায়। সন্ধ্যা নদীতে টহল দেয়ার সময়ে স্পীড বোটে থাকা লোকজন ও চালক নিজেকে মশার কামড় থেকে রক্ষা করতে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখে। অসাধু জেলেদের জাল আটক করার সময় অসাবধানতাবশত কয়েলের উপরে স্পীড বোটের জ্বালানি পেট্রোল পড়লে আগুন ধরে যায়। এতে ওই স্পীড বোটের চালকের পায়ে আগুনের তাপ লাগায় তার দুই পা পুড়ে যায়। স্পীড বোটে থাকা অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
ওই চালককে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন।
আহত স্পীড বোটের চালকের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলায় বলে জানাগেছে। বানারীপাড়া উপজেলার সন্ধ্যা নদীতে অসাধু জেলেদের মা ইলিশ নিধন রোধে মৎস্য দপ্তর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও তাদের দমিয়ে রাখা কষ্টকর হচ্ছে। অসাধু জেলেরা প্রায়ই অভিযানের দায়িত্বে থাকা টলার, স্পীড ও লোকবলের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
উল্লেখ্য তারা কে বা কাদের মদদে মৎস দপ্তরের লোকবলের উপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলা চালাচ্ছে তার সঠিক তথ্য এখনো প্রশাসন বের করতে পারেনি। তবে এর মূলে রয়েছে দ্রুত গতির ফাইটার টলার যার গতি স্পীড বোটের চেয়েও বেশি।সঠিক আইন প্রয়োগের মাধ্যমে যদি নির্দিষ্ট গতিসীমার ইঞ্জিন বোটে বসানো হয় তাহলে হয়তো জেলেদের এমনভাবে অবাধে মৎস্য নিধন ও অভিযানের দায়িত্বে থাকা লোকবলের উপর হামলা বন্ধ হবে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।