পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় কওমি মাদরাসার নাজেরা শাখার ছয় বছরের আবাসিক ছাত্র ওসমান মল্লিকের (ইয়াসিন) পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থল গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শিশুটি দুই দফা মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি গেলে মাদরাসার কর্তৃপক্ষ তাকে শৃঙ্খলবদ্ধ করে পাঠদান করাচ্ছিল। এতে শিশুর পায়ে ব্যথা সৃষ্টি হয়।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তারের নির্দেশে ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে শিকলমুক্ত করেন।
ভুক্তভোগী শিশুর বড় ভাই আবু বকর মল্লিক জানান, ইয়াসিন পড়াশোনায় মনোযোগ দেয় না এবং দুইবার মাদরাসা থেকে পালিয়েছে। তাই তিনি এক পায়ে শিকল পরিয়ে মাদরাসায় পাঠিয়েছিলেন। পরে মাদরাসার শিক্ষকরা শিশুটিকে শিকলমুক্ত করেছেন।
মাদরাসার নাজেরা শাখার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া বলেন, ‘শিশু শান্তিপূর্ণভাবে পড়াশোনা করতে চায়নি। তাই এক পায়ে শিকল ব্যবহার করা হয়েছিল, তবে পরে তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ভাণ্ডারিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. কাইয়ূম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই শিশুটির শিকল খুলে দেওয়া হয়। শিশুর অভিভাবক ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।