শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

আমতলীতে পরীক্ষার অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৯’জন শিক্ষার্থী বহিষ্কার

বরগুনা প্রতিনিধি ।
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার “আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসা” কেন্দ্রে ফাজিল ৩য় বর্ষের পরীক্ষায় ৯’জন পরীক্ষার্থীকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিস্কার করা হয়েছে। নয়জনের মধ্যে ৮’জন মেয়ে ও ১’জন ছেলে। পরীক্ষা কেন্দ্রে এতো পরীক্ষার্থী বহিস্কারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার বিকেলে।
জানাগেছে, আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কালিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৭৮ জন ফাজিল তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত ২৫ অক্টোবর পরীক্ষা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে অনিয়ম চলে আসছে। কেন্দ্র প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার ফ্যাসিলেটেটর মোঃ মাইনুল ইসলাম ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে অনিয়ম হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি এমন অভিযোগ শিক্ষকদের। শনিবার বিকেলে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের মেয়েদের কক্ষে ওই মাদ্রাসায় ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক জাকিয়া বেগমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরীক্ষা শুরুর দের ঘন্টা পরে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান। মেয়েদের কক্ষের পরীক্ষার্থীরা বই খুলে পরীক্ষা দিতে দেখেন তিনি। পরে তিনি নয়জনকে বহিস্কার করেছেন। নয়জনের মধ্যে আটজন মেয়ে এবং একজন ছেলে পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা কেন্দ্রে এতো পরীক্ষার্থী বহিস্কারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ওই কেন্দ্রের মেয়েদের কক্ষ পরিদর্শক প্রভাষক জাকিয়া বেগমকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। বহিস্কারকৃতরা হলেন জান্নাতি, তানিয়া, মাহফুজা, তানিয়া, সাদিয়া, জুলেখা, রুমা, লামিয়া ও জাকারিয়া।
কেন্দ্র প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার ফ্যাসিলেটেটর মোঃ মাইনুল ইসলাম বলেন, মেয়েদের কক্ষ থেকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিস্কার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি কেন্দ্র প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেও মেয়েদেরতো চেক করতে পারিনা।
আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুচ আলী হাওলাদার বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকর্ষিক পরীক্ষা কেন্দ্র পরির্দশনে এসে পরীক্ষার্থীদের বই খুলে পরীক্ষা দিতে দেখেন। পরে তিনি ৯ জনকে বহিস্কার করেছেন। ইসলামের ইতিহাস পরীক্ষায় ওই বিষয়ের শিক্ষককে কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন এটা কি যোক্তিক কিনা? এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন  করে দেন। আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ইউএনওর পুলিশ হেফাজতে থাকা প্রভাষক জাকিয়া বেগমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা  নিবেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শনে গিয়ে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে নয়জনকে বহিস্কার করা হয়েছে। কক্ষ পরিদর্শক জাকিয়া বেগমের বিরুদ্ধে আদেশ অমান্য ও নকলে সহায়তা করায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন,  কেন্দ্র প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কেন্দ্র সচিবকে আগামী পরীক্ষায় পরিবর্তন করা হবে।

আরো পড়ুন

বাবুগঞ্জের ইউএনও’র বদলি স্থগিতের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি।। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয়, জনবান্ধব ও মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *