শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা.শামীমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি।।

দরপত্রে অনিয়ম ও প্রতারনা করে ২কোটি ১৬লাখ ২৫হাজার টাকার ঠিকাদারী কাজ একটি প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার অভিযোগে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক বর্তমানে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে কর্মরত ডা. শামীম আহমেদসহ চারজনের নামে দুদক মামলা করেছে।

গতকাল বুধবার দুদক পিরোজপুর কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বাদী হয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ও দণ্ডবিধির ৪২০,৪০৯, ও ১০৯ ধারায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডা. শামীমের সাথে বরিশাল কাটপট্রি রোডের ঠিকাদার শিপ্রা রানী পিপলাই, তার ছেলে সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই ও স্বামী সত্য কৃষ্ণ পিপলাইকে আসামী করা হয়। দুদক পিরোজপুরের উপপরিচালক এজাহার গ্রহণ করে মামলা হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দেন। মামলা নং ১৫।

মামলার অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৫ কোটি টাকার এপিপি অনুমোদন করা হয়। এপিপি অনুমোদনের পর গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, অসুধ, কেমিক্যাল, আসবাবপত্র ও কিচেন সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ ২ কোটি ১৬লাখ ২৫ হাজার টাকার দরপত্র আহবান করেন। ৬টি গ্রুপের দরপত্রে প্রতিগ্রুপে ৫টি করে দরপত্র বিক্রি দেখানো হয়। মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনাল ও শহিদুল ইসলাম এই চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে।

ডা. শামীমের নেতৃত্বে দরপত্র মুল্যায়ন কমিটি তিনটি প্রতিষ্ঠা মেসার্স আহসান ব্রাদার্স, পিপলাই এন্টারপ্রাইজ ও বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালকে উপযুক্ত বিবেচনা করে কার্যাদেশ প্রদান করে। অথচ এই তিনটি প্রতিষ্ঠান আসামী সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই একাই পরিচালনা করেন। মেসার্স আহসান ব্রাদার্স এর প্রোপাইটর দেখানো হয় সোহাগের বাবা সত্য কৃষ্ণ পিপলাইকে, বাপ্পী ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর সোহাগের মা শিপ্রা রানী পিপলাইকে এবং পিপলাই এন্টারপ্রাইজের মালিক সোহাগ পিপলাই নিজে। প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ৮৩৭/৮৩৮ উত্তর কাটপট্রি বরিশাল সদর।

মামলার বাদী দুদক পিরোজপুরের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল বলেন, আসামী ডা. শামীম নিজে এবং অপর আসামীদের লাভবান করার জন্য পরস্পর যোগসাজসে দাখিলি দরপত্রে আইটেম ভিত্তিক প্রায় কাছাকাছি সাজানো প্রতিযোগিতা দেখিয়েছেন যা পিপিআর বিধিমালা ২০০৮ এর ১২৭(৩)(খ) অনুযায়ী চক্রান্তমূলক কার্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ডা. শামীম আহমেদ বলেন, সাজানো এবং বানানো অভিযোগে আমার নামে মামলা করা হয়েছে। আমি যড়যন্ত্রের শিকার। বাদী আরও জানান মামলা রেকর্ডের পর কাগজপত্র ঢাকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে কমিশন থেকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর তিনি আসামীদের গ্রেফতারের উদ্যোগ নিবেন।

আরো পড়ুন

বাবুগঞ্জের ইউএনও’র বদলি স্থগিতের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি।। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয়, জনবান্ধব ও মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *