নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন দিবস কিংবা উৎসবে ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্টের আয়োজন করে থাকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভাগগুলো। এসব আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ। মুক্তমঞ্চের এ সকল কনসার্টে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বহিরাগতদের উপচে পড়া ভিড় থাকে দেখার মত।
জানা যায়, মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এসকল অনুষ্ঠান বা কনসার্টে চলে মাদকের অবাধ ব্যবহার। কনসার্টে সিগারেট-গাঁজার গন্ধ আর ধোঁয়ায় একদিকে নষ্ট হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ; আরেক দিকে ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় বেশি অস্বস্তিকর অবস্থায়। এছাড়াও শিক্ষকরাও বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বার বার মাদকসেবীদের সরে যেতে অনুরোধ করা সত্ত্বেও কেউ কথা শোনেন না বরং উগ্র আচরণ করেন। বদ্ধ জায়গায় চারদিক থেকে আসা ধোঁয়ায় শ্বাস নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানান তারা। শিক্ষার্থীরা জানান এসব বিষয় দেখেও না দেখার ভান করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লব নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, সিগারেট আর গাঁজার ধোঁয়া ছাড়া কোনো কনসার্ট দেখেছি বলে মনে পড়ে না। একটা বদ্ধ জায়গায় চারদিক থেকে ধোঁয়া এলে, শ্বাস নেওয়াই দায় হয়ে যায়। তবে ইদানীং স্টেজ ও এর আশপাশে মাদকগ্রহণের প্রচলনটা ভালোই বেড়েছে। ব্যক্তি স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে মুক্তমঞ্চের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উন্মুক্তভাবে মাদক গ্রহণের যে ঘটনা ঘটছে তা উদ্বেগজনক।
ক্যাম্পাসের প্রোগ্রামগুলোয় বহিরাগত নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে আরো সচেতন হতে হবে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগ আয়োজিত কনসার্টে প্রকাশ্যে বহিরাগতদের মাদক সেবনের ভিডিও এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এছাড়াও মঙ্গলবার রাতে মুক্তমঞ্চে একটি বিভাগের কনসার্টকে কেন্দ্র করে একদল বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ এবং মাদক গ্রহণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা চলাকালীন এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রফিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এছাড়াও কয়েকজন সহকারী প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারাও সাড়া দেননি ৷