শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

বরগুনায় শিশু ধর্ষণে অভিযোগে ধর্ষকের ফাঁসি

মইনুল আবেদিন খান সুমন বরগুনা প্রতিনিধি।।

বরগুনার বেতাগী উপজেলার শরিষামুড়ি ইউনিয়নে ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া ১২বয়সের শিশুকে ধর্ষণ করার অপরাধে ধর্ষককে সর্বোচ্চ রায় মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করেছে আদালত। একই সঙ্গে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয় আদালতের বিচারক।

ফাঁসির রায়ে দন্ডিত আসামির নাম মহাসিন কাজী (৪৫)। সে বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের সরিষামুড়ি গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৭নভেম্বর) দুপুর পৌঁনে বারোটায় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জেলা দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার রায় প্রদান করেন। রায় চলাকালীন সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে ২০২৪ সালের ৯সেপ্টেম্বর সোমাবার সকাল সাড়ে ৬টায় মক্তবে যাওয়ার সময় ভিকটিমকে রাস্তায় একা পেয়ে ধর্ষক মহসিন কাজী প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে দেখিয়ে গলায় চাকু ধরে নিয়ে খালের পাশে ঝোপঝাড়ের মধ্যে কলাপাতা বিছিয়ে ধর্ষণ করে। এঘটনার পর ভিকটিম বাড়িতে তার মাকে বললে সে ধর্ষক মহসিন কাজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে বেতাগী থানায় মামলা করে।

এবিষয়ে ভিকটিমের বড়বোন নাবিলা বলেন এরকম একটি অপকর্মের ন্যা্য্য বিচার পেয়েছি আমরা খুশি হয়েছি। ধর্ষণ মামলার বাদী ও ভিকটিমের মা মাফুজা বেগম বলেন এই রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।

ধর্ষক মহসিন কাজীর মা বিউটি বেগম-আসামি তার মাকে দেখে বলে ওঠে তোমার জন্য আমার ফাঁসি হয়েছে এবিষয়ে জানতে চাইলে বলে, বাদী পক্ষের লোকজন মিমাংসা করাতে টাকা পয়সা চেয়েছিল আমি শাকপাতা বিক্রি করি খাই। তাদের চাহিদা মতন টাকা দিতে পারিনি বলে আমার ছেলের ফাঁসি হয়েছে। আমি গরীব মানুষ আপীল করবো সেই সমর্থও নেই।

নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর রনজুয়ারা শিপু বলেন মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। একজন শিশুকে মক্তবে যাওয়ার সময় মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত আসামি ধরে নিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনা একটা গর্হিত অপরাধ। আদালতে আমি অপরাধীর এই অপকর্ম রাস্ট্রের পক্ষে প্রমাণ করাতে পেরেছি।

আরো পড়ুন

বাবুগঞ্জের ইউএনও’র বদলি স্থগিতের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি।। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয়, জনবান্ধব ও মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *