মইনুল আবেদীন খান সুমন বরগুনা প্রতিনিধি।।
বরগুনায় আরডিএফ এনজিওর বিরুদ্ধে প্রকল্পের শিক্ষকদের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রকল্পের শিক্ষকগন।
পিইডিপি-৪ আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামে কর্মরত বরগুনা জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা বকেয়া বেতন, বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা ও কেন্দ্র পরিচালনার বরাদ্দকৃত অর্থ পরিশোধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সোমবার (১ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন শিক্ষক ঘর মালিক মো. হুমায়ুন কবির। উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী শিক্ষক মোসাম্মাৎ শিরিন আক্তার, শাহিনুর আক্তার, রাজিব কুমার, লাভলী আক্তার, আমিনুর আক্তারসহ আরো অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২২ সালের ১৩জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ডিসেম্বর পর্যন্ত বরগুনা সদর, বেতাগী, তালতলী, আমতলী ও পাথরঘাটা উপজেলাসহ তিন পৌরসভায় আরডিএফ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর পিইডিপি-৪ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। প্রায় ৪২০টি শিখন কেন্দ্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ঝরে পড়া শিশুদের নিয়মিত পাঠদান করেন।
অভিযোগে বলা হয়, প্রকল্পের বরাদ্দ অনুযায়ী কেন্দ্র প্রতি মালামাল, শিক্ষা উপকরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়, গ্রামাঞ্চলে ১,৫০০ টাকা ও শহরে ১০,০০০ টাকা হারে মাসিক বাড়ি ভাড়া, শিক্ষক বেতন-ভাতা ও উৎসব ভাতার অর্থ যথাযথভাবে পরিশোধ করা হয়নি। বক্তারা দাবি করেন, বরাদ্দকৃত অর্থের বড় অংশ শিক্ষকদের দেওয়া হয়নি এবং তিন বছরে বিপুল পরিমাণ টাকা অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাৎ হয়েছে বলে তাদের ধারণা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা জানান, সার্ভে ভাতা, কেন্দ্র পরিচালনার উপকরণ, শিক্ষার্থীদের বই-খাতা-ব্যাগ-পোশাক, চক, পিন, স্টেশনারি, এলসি রুম সজ্জাসহ বিভিন্ন বরাদ্দও সঠিকভাবে বিতরণ করা হয়নি। শিক্ষকরা আরও বলেন, বেতন-ভাতার সঠিক নথিপত্র সংস্থার পক্ষ থেকে কখনও দেখানো হয়নি।
তারা দাবি করেন, ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্র চালুর পর তিন বছরে প্রত্যেক শিক্ষকের ১লাখ ৩১ হাজার ২২৪ টাকা করে বকেয়া রয়েছে। পুরো জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোট পাওনা কয়েক কোটি টাকারও বেশি বলে সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জরুরি ভিত্তিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তারা সিএমসি ম্যানুয়াল অনুযায়ী বকেয়া বেতন, বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা ও কেন্দ্র পরিচালনার বরাদ্দকৃত অর্থ দ্রুত পরিশোধের দাবি জানান।
বরগুনা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত পিইডিপি-৪ প্রকল্পের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে আরডিএফ এনজিওর পরিচালক এনামুল হক বলেন, তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা তাদের টাকা এবং বাড়িভাড়া পরিশোধ করেছি।আমি ঢাকার চিকিৎসার জন্য এসেছি ফিরে এসে বিস্তারিত প্রমাণ দিতে পারবো।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।