খেলাধুলা ডেস্ক।।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও নারী ফুটবল দলের মধ্যে চলমান আর্থিক সংকট এবং অবহেলা নিয়ে একটি কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নারী ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, যারা ম্যাচ খেলেন তারা দশ হাজার টাকা করে ম্যাচ ফি পাবেন। তবে বর্তমানে তাদের আটটি ম্যাচ ফি বকেয়া রয়েছে, যার মধ্যে সদ্য সমাপ্ত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, জুন ও জুলাই মাসের চারটি প্রীতি ম্যাচ অন্তর্ভুক্ত।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের সময়, নারী ফুটবলারদের চারটি ম্যাচ ফি এবং সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া ছিল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর, বাফুফে নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ দাবি করেছিলেন যে শুধু অক্টোবর মাসের বেতন বাকি। কিন্তু, ফুটবলাররা এবং বাফুফে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা নিশ্চিত করেছেন যে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন এবং আটটি ম্যাচ ফি এখনও বকেয়া রয়েছে।
এই পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে যখন নারী ফুটবলারদের নানা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যেমন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ১ কোটি টাকা, বিসিবি থেকে ২০ লাখ, সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা করে, এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকেও সম্মাননা পেয়েছেন। কিন্তু বাফুফে এখনও তাদের প্রাপ্য অর্থ প্রদান করেনি এবং দলের ছুটির মধ্যে তারা কিছু না পেয়ে অপেক্ষা করছেন।
বাফুফের আর্থিক সংকট থাকলেও, নির্বাহী কমিটির বেশিরভাগ সদস্য আর্থিকভাবে স্বচ্ছল, এবং নির্বাচনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছেন। তবে তারা নারী ফুটবলারদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে একেবারেই চুপ। নারী ফুটবলারদের সাফল্যের পর, বাফুফে নির্বাহী কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন সংবর্ধনায় অংশগ্রহণ করছেন, তবে তারা ফুটবলারদের প্রাপ্য টাকা আদায় করতে এগিয়ে আসছেন না।
এমনকি, সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও, নারী ফুটবলারদের ক্যাম্পে ফিরে আসার জন্য কোনো তাগিদ নেই, কারণ তাদের উপর দেড় কোটি টাকা বোনাসের চাপ রয়েছে, যা বাফুফে ঘোষণা করেছে। সুতরাং, ফুটবলাররা এখন অপেক্ষা করছেন, কবে তাদের প্রাপ্য টাকা এবং পুরস্কার প্রদান করা হবে।