সোমবার, এপ্রিল ৭, ২০২৫

বিচ্ছেদে খুশি নন সায়রা-রহমান কেউই! তবুও কেন হলো

বাংলাদেশ বাণী ডেস্ক॥

গত ১৯ নভেম্বর বিয়ে ভাঙার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন এ আর রহমান এবং সায়রা বানু। ১৯৯৫ সালে তারা বিয়ে করেছিলেন। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ ছিল তাদের। তিন সন্তানও আছে এই তারকা দম্পতির, আমিন, খাতিজা এবং রহিমা। ২৯ বছর একসাথে থাকার পর এবার দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে ডিভোর্সের পথে এগোচ্ছেন তারা। কিন্তু এই বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কেউই খুশি নন তারা। তাও কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন, কী জানালেন তাদের আইনজীবী?

রহমান এবং সায়রার বিচ্ছেদ নিয়ে কী জানিয়েছে আইনজীবী?
সায়রা বানুর উকিল বন্দনা শাহ পিটিআইকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ওদের। লম্বা দাম্পত্য জীবন। তাই কেউই এটাকে খুশি মনে শেষ করছেন না। ওরা ডিভোর্স করছেন ঠিকই, কিন্তু খুশি নন।’ তিনি এদিন আরো জানান, ‘ওরা গোটা বিষয়টা বন্ধুত্বপূর্ণভাবে শেষ করতে চাইছে। কোনও খোরপোষ ইত্যাদির মধ্যে যাচ্ছে না। দুজনেই সম্ভ্রান্ত পরিবারের অংশ। খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব। ২৯ বছর ধরে দুজনে সসম্মানে থেকেছেন একসঙ্গে, এবার বিয়েটা টিকল না বলে জিনিসটাকে তারা বদলাতে চাননি। সবার জীবনে তো রূপকথা হয় না, সবাই চাইলেও না। কেউই বিচ্ছেদ হবে ভেবে বিয়ে করে না।’

বিচ্ছেদের খবর জানিয়ে কী বলেছিলেন রহমান এবং সায়রা?
রহমান ডিভোর্স প্রসঙ্গে লেখেন, ‘আমরা গ্র্যান্ড থার্টিতে পৌঁছানোর আশা করেছিলাম, তবে সমস্ত কিছু, মনে হয়, এক অদৃশ্য পরিণতি বয়ে বেড়ায়। এমনকি ভগ্ন হৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কাঁপতে পারে। তবু এই বিপর্যয়ের মধ্যে আমরা অর্থ খুঁজি, যদিও টুকরোগুলো আবার জায়গা নাও পেতে পারে। আমাদের বন্ধুদের প্রতি, আপনাদের উদারতার জন্য এবং এই ভঙ্গুর অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে চলার সময় আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’

রহমান এবং সায়রা বানু বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করার পরদিনই গায়কের টিমমেট মোহিনী দেও নিজের সঙ্গীর সঙ্গে ডিভোর্স ঘোষণা করেন। তখন অনেকেই ভাবেন যে তবে কি গায়কের সাথে তার কোনো বিশেষ সম্পর্ক আছে? তবে সে জল্পনাতেও পানি ঢেলে আইনজীবী জানিয়েছেন এসব কেবলই রটনা। সত্যি নয় একেবারেই।

আরো পড়ুন

সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সরকারি সৈয়দ হাতেমআলী কলেজের ৫২ তম ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *