বাংলাদেশ বাণী ডেস্ক॥
২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজনে একমাত্র বিডার ছিল সৌদি আরব। তাই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও তারাই যে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে, সেটা নিশ্চিত। গতকাল সৌদি আরবের বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফিফা।
মানবাধিকার ইস্যুর কারণে সৌদি আরব নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকার পরও তাদেরকে ৫–এর মধ্যে ৪.২ দিয়েছে ফিফা, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ফিফা জানিয়েছে, ২০৩৪ বিশ্বকাপে মানবাধিকারের ঝুঁকি ‘মধ্যম’। ফুটবলের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার দাবি, সংস্কারের জন্য এটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে পারে। যেসব সংগঠন সৌদি আরবের বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আপত্তি তুলেছিল, তারা ফিফার এমন মূল্যায়নকে তিরস্কার করেছে।
তেলসমৃদ্ধ দেশটির বিশ্বকাপ আয়োজনে এখন অবকাঠামোই প্রধান চ্যালেঞ্জ। বিশ্বকাপে খেলা হবে ২৩টি স্টেডিয়ামে। এর মধ্যে একটি নির্মাণের অপেক্ষায় কিং সালমান স্টেডিয়াম, যার দর্শক ধারণক্ষমতা হবে ৯২ হাজার।
এখানেই হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ। এই স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০৩২ সালে। এ ছাড়া ২০২৭ এশিয়ান কাপকে সামনে রেখে আরও ৩টি স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হওয়ার কথা আছে।
যদিও ফিফা দাবি করেছে, অবকাঠামোগত কাজ চলমান হলেও সৌদির প্রস্তাবে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের প্রতিশ্রুতি আছে। পাশাপাশি পরিবেশগত সুরক্ষার বিষয়েও ঝুঁকি কম। তবে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে উল্লেখ করে খেলার সময় নিয়ে উচ্চ ঝুঁকির কথা স্বীকার করেছে ফিফা। সে কারণে সম্ভাব্য কোনো সূচি এখনো ঠিক করা হয়নি। বিশ্বকাপ আবহাওয়ার কারণে শীতের সময়ে হতে পারে।
এ ঘটনা ঘটেছিল সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপেও। বিশ্বকাপের জন্য সেরা সময় বেছে নিতে সৌদি আরবের সঙ্গে ফিফা কাজ করবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২০৩০ বিশ্বকাপ হবে তিনটি মহাদেশে।
এই বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ন্যূনতম যে প্রয়োজনীয়তা, তা আয়োজক দেশগুলো পূরণ করলেও, পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, জানিয়েছে ফিফা। ২০৩০ বিশ্বকাপে আয়োজক থাকবে স্পেন, পর্তুগাল, মরক্কো। তবে শতবর্ষী এই বিশ্বকাপের শুরুর ৩ ম্যাচ হবে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে।
ফিফা আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ আয়োজকদের নাম ঘোষণা করবে ১১ ডিসেম্বর।