নিজস্ব প্রতিবেদক॥
বরিশালে স্পিডবোট দুর্ঘটনার দুইদিন পর চালক ও দুই যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে নদীতে ভাসমান অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার।
তিনি জানান, দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকেই লাশ তিনটি উদ্ধার করাহয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া লাশ তিনটির মধ্যে একটি স্পিডবোট চালক আল আমিনের (২৩); অন্য দুটি হলেন যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ইমন (২৯) ও মো. রাসেল আমিন (২৪)। স্বজনরা তাদের মরদেহ শনাক্ত করেছেন।
এর মধ্যে চালক আল আমিন ভোলা সদরের ভেদুরিয়ার উত্তর চর এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে এবং যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ইমন ভোলা সদরের ধনিয়া এলাকার মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে ও মো. রাসেল আমিন পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার নেওয়াপাড়া এলাকার আজগর আলী হাওলাদারের ছেলে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাটির পর নদী থেকে উদ্ধার করা জালিস মাহমুদ (৫০) নামের এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও মানসুর আহমেদ নামে ভোলার দৌলতখান থানার এক কনস্টেবল আহত হন।
প্রাথমিকভাবে ওই দুর্ঘটনার পর চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ। যার মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করার পর এখনো বরিশালের বাবুগঞ্জের রহমতপুরের দুলাল দাসের ছেলে সজল দাস (৩০) নিখোঁজ বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।