মো. নুর উল্লাহ আরিফ, চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
চরফ্যাশন উপজেলার ১০০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে উপজেলার ৬ লাখ জনসংখ্যার জন্য নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা। নেই অস্বাভাবিকভাবে নিহত লাশের ময়না তদন্তের জন্য কোন ব্যবস্থা।
এতে অস্বাভাবিকভাবে নিহত লাশের ময়না তদন্তের জন্য নিতে হয় প্রায় শত কিলোমিটার দূর জেলা সদর হাসপাতাল ভোলায়। জেলা সদর হাসপাতালে লাশ আনা-নেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় আত্মীয়- স্বজন ও পুলিশকে। বিশেষ করে চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল ঢালচর, চর কুকরি মুকরি, মুজিবনগরসহ বিভিন্ন দুর্গম এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। তাদের প্রায় দুইশ আড়াইশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। আবহাওয়াজনিত প্রতিকূল অবস্থায় লাশের স্বজনের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এত পথ পাড়ি দিতে কখনো কখনো পড়তে হয় চরম অস্বস্থিতে। লাশের সাথে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ প্রশাসনের লোকদেরও পোহাতে হয় দু্র্ভোগ। অনেক সময় জেলা সদর হাসপাতালে লাশ পৌছানোর পর শুরু হয় আরেক বিরম্ভনা। কাটার জন্য ডোম অথবা সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডাক্তার না থাকলে লাশের সাথে আত্মীয় স্বজনকে কয়েক দিন ভোলায় অবস্থান করতে হয়। সরকারি বন্ধের দিন হলেও আটকে পোস্টমর্টেমের কাজ। এমনকি ময়নাতদন্ত পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষ হতেও অনেক সময় প্রয়োজন হয়। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থের ব্যয়সহ স্বজনদের থাকতে হয় মানুষিকভাবে দুশ্চিন্তায়।
চরফ্যাশন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক ইনকিলাবের চরফ্যাশন উপজেলা সংবাদদাতা কামাল গোলদার বলেন, বিপুল সংখ্যক জনবসতির চরফ্যাশনে সরকারি হাসপাতালে আরো ডাক্তারসহ চিকিৎসা ব্যবস্থা রোল মডেল উন্নত হওয়া প্রয়োজন। সাথে সাথে এ হাসপাতালে অস্বাভাবিকভাবে মৃত লাশের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। তাতে পুলিশ প্রশাসন ও লাশের স্বজনের কষ্ট লাগব হবে। এমনটা হলে চরফ্যাশনের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন চরাঞ্চলসহ মনপুরা উপজেলার মানুষও এর সুফল পাবে।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক বলেন, চরফ্যাশন হাসপাতালে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি চলতেছে।