আসাদুজ্জামান আরেফিন, রাজাপুর॥
সাবেক শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর এপিএস এর মিথ্যা অভিযোগে ঝালকাঠি জেলাধীন রাজাপুর উপজেলার জীবনদাশকাঠি এনএএস দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৮ মাস পরে রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে মাদ্রাসায় যোগদান করেছেন।
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর লিখিত ভাবে যোগদান করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. আলতাব হোসেন সিকদার, সহকারী মৌলবী মো. আনোয়ার হোসেন, মো. মাসুদুর রহমান, মো. লোকমান হোসেন, সহকারী জয় মন্ডল, মো. মোশারেফ হোসেন, মো. নূরুল হক হোসেন। এছাড়াও সাবেক অধ্যক্ষ নূরুল আলম, মাদ্রাসার দাতা সদস্য আব্দুল আজিজ আকন, নান্নু সিকদার, সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল তালুকদার, ফোরকান তালুকদার, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় প্রায় শতাধিক লোক।
জানাগেছে, সাবেক শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর এপিএস দাবি করা আবুল কালাম আজাদ তালুকদার ক্ষমতার বলে ওই মাদ্রাসার সভাপতি হয়ে নিয়োগ বানিজ্য করেন, তার প্রতিবাদ করায় সহকারী শিক্ষক মো. মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে উপজেলার, পিরোজপুর দুদক, মাদ্রাসার শিক্ষা বোর্ডসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের কারণে তার সহকারী শিক্ষক চাকুরি সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়। এরপর দুদক, উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসার, নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকল দপ্তরের কর্মকর্তারা তদন্ত করে এবং উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়, সহকারী শিক্ষক পদে মো. মজিবুর রহমানকে বহাল রেখে নোটিশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ২৩ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও রাহুল চন্দ ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কমিটির অন্যান্য সদস্যরা মিলে সহকারী শিক্ষক মো. মজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি সভা করেন। সভায় তার সহকারী শিক্ষক পদবী বহাল রেখে রেজুলেশন করে তাকে লিখিত ভাবে যোগদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি ২৪ তারিখ ডিসেম্বর লিখিত ভাবে যোগদান করেন।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান বলেন, বেআইনি ভাবে আমাকে দীর্ঘ ২৮ মাস হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। বেতন না পাওয়ায় আমার ছেলে মেয়েসহ পরিবারের সবাই অনেক কষ্টে জীবনযাপন করেছি। এলাকার মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় আইনি লড়াইয়ে জয়লাভ করেছি।