সিরাজুল ইসলাম,কুঞ্জেরহাট॥
সব আয়োজন ও প্রস্তুতি চুড়ান্ত করেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভোলার কর্মি সম্মেলনে যাওয়া হলোনা আবদুল হালিমের। শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টা ৩০ মিনিটের সময় ব্রেনস্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেন জামায়াতের বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ সক্রিয় কর্মি আবদুল হলিম (৪০)। তিনি ছিলেন এই ওয়ার্ডের মরহুম নজরুল ইসলামের চতুর্থ পুত্র।
নিহতের বড় ভাই সহকারী অধ্যাপক আবদুল আউয়াল বলেন, আমাদের ৫ ভাইয়ের মধ্যে হালিম ছিল অত্যন্ত নম্র ও ধার্মিক। সে কুঞ্জেরহাট বাজারের ব্রাদার্স লাইব্রেরীর মালিক। শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার পড়ে শুইয়ে পড়ে সে। রাত আড়াইটার দিকে সে ব্রেনস্ট্রোক করলে তাকে তাৎক্ষণিক ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী ০৪ নং কাচিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড শাখার বাইতুলমাল সম্পাদক মাওলানা হাসান শিকদার বলেন, “আব্দুল হালিম ছিলেন জামায়াতের নিবেদিতপ্রাণ একজন কর্মী। জামায়াতে ইসলামীর শনিবারের ভোলার কর্মি সম্মেলনে যোগদানকে কেন্দ্র করে তার ওপরে অনেকগুলো দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। তিনি অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করে গভীর রাতে বাসায় ফেরেন। ভোরের দিকে আমরা জানতে পারি তিনি ব্রেন স্ট্রোক করেছেন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর ইন্তেকাল করেন। তার এই চলে যাওয়া আমাদের সংগঠনের মাঝে শোকের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। “
পারিবারিক সূত্র জানায় মৃত হালিমের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলেটির বয়স তিন বছর এবং মেয়েটির বয়স ৯ বছর। কিছুদিন আগে ছেলেটি জটিল রোগে অসুস্থ হলে তাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করতে বহু টাকা ব্যয় হয়েছে। পারিবারিকভাবে নিহতের পরিবারটি খুবই অস্বচ্ছল। সন্তান দুটির ভবিস্যত নিয়ে নিহতের বিধবা স্ত্রী খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
আবদুল হালিমের মৃত্যুতে শোকাহত তার বন্ধু মহল ও কুঞ্জেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী বৃন্দ।