নুর উল্লাহ আরিফ চরফ্যাশন প্রতিনিধি
গত ষোল বছর শৃঙ্খলিত জীবন ও বিভিন্ন উৎসব পালনে অনেকটা বিধি নিষেধের গ্যাড়াকলের জাল ছিন্ন করে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন ও মুক্ত জীবনের প্রথম ঈদ পালন করলো পুরো দেশের মানুষ। স্বাভাবিক পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে চরফ্যাশনের বিভিন্ন পার্ক বিনোদন স্পট ও নদীর তীরে ভ্রমণপ্রেমী এবং বিনোদন প্রিয় মানুষের ঢল নামে। দুপুরের পর থেকেই মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা নাগাদ এসব স্পটে উপচে পড়া ভীড় নামে মানুষের।
শুধু চরফ্যাশনের স্থানীয় মানুষের উপস্থিতিই ছিল না। ভোলার বিভিন্ন উপজেলা হতে মানুষজন এসেছে এসব কেন্দ্রে। অনেকেই দেখা গেছে তাদের পরিবার পরিজনসহ আসতে। নানা বয়সের মানুষের উপস্থিতি থাকলেও বিশেষ করে নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর, কিশোরী, তরুণ, তরুণীর উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি।
বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে চরফ্যাশন শিশু বিনোদন কেন্দ্র, বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক, খেজুর গাছিয়া নদীর তীরে ছিল মানুষের উপছে পড়া ভীড়। এছাড়াও দক্ষিণ আইচা নবীনগর নদীর তীরেও ছিল ভ্রমণ প্রেমীদের ভীড়।
তজুমদ্দীনের শম্ভুপুর ইউনিয়ন থেকে মমিন আলম এসেছেন তার পরিবার পরিজন নিয়ে। তিনি জানান, তিনি দুপুরের দিকে এসে প্রথমে যান বেতুয়া প্রশান্তি পার্কে। সেখান থেকে আসরের সময় আসেন চরফ্যাশন শিশু বিনোদন কেন্দ্রে। তিনি বলেন, সময়টা খুব ভাল কাটল, বাচ্চারা শিশু পার্কের বিভিন্ন রাইডে চড়ে ভীষণ খুশি। সময়ের অভাবে বাচ্চাদের সব রাইডে চড়াতে পারি নি। আবারও আসব।
বেতুয়া প্রশান্তি পার্কে ঘুরতে আসেন মো. সেলিম, তিনি জানান, আমি ঈদে ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে বাড়ি এসেছি। আসার সময় পরিবার সবাইকে বলেছি তাদের নিয়ে চরফ্যাশনের বিভিন্ন পার্কে ঘুরতে যাব। তাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। উপচে পড়া ভীড়ে কিছুটা অস্বস্তি লাগছিল। কিন্তু রাইডে চড়ে বাচ্চাদের খুশিতে সে কষ্ট ম্লান হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসে খুব ভাল লাগছে।
ভ্রমণ প্রেমীদের মানুষের চাপে চরফ্যাশন সদর রোডে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে ভ্রমণ প্রেমী মানুষের নিরাপত্তায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।