নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ভোলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহত এমআইএস ভুক্ত হওয়ার জন্য নতুন তালিকায় ভুয়া কয়েকজনের নাম যুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে । ভুয়া আহতদের তালিকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তালিকা প্রণয়নে অসঙ্গতি তুলে আপত্তি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা । একইসঙ্গে আহতের এই তালিকা তৈরীতে স্বজনপ্রীতি ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
তবে এই তালিকা নিয়ে পাল্টাপাল্টি মতামত ব্যক্ত করছেন ছাত্ররা । বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ভোলায় ছাত্রলীগের হামলায় প্রথম আহত জহির উদ্দিন বাবর বলেন, জুলাইযোদ্ধার তালিকায় মো. শিমুল, মো. ফজলে রাব্বি ও আব্বাস উদ্দিন নামে ৩জন আহত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারা কোথাও আহত হয়নি। কোথাও তাদের চিকিৎসা নিতেও দেখিনি ।
এরকম অন্তত ৫জনকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যারা কোনোভাবেই আন্দোলনে আহত হননি । এদের আহত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা মানে জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে বেঈমানি করা।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক নেতা মো. রাজু বলেন, ‘ভোলা জেলায় প্রথমে ১৯৩জন আহতকে জুলাইযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পরে চূড়ান্ত তালিকায় আরও ২৬জনকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অথচ তালিকার অনেকেই দেখছি, যারা কোনোভাবে আন্দোলনে আহত নয়। তাদেরকে জুলাইযোদ্ধা হিসেবে মানতে পারছি না । তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। যারা জুলাইযোদ্ধা তাদের সঙ্গে কোন ভুয়া যোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত হোক, এটা চাই না। অবিলম্বে যাচাই বাছাই করে প্রকৃত জুলাই যোদ্ধাদের চিহ্নিত করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ছাত্র আন্দোলনের আরেক নেতা মোহাম্মদ কাসেম বলেন, আমরা যারা আন্দোলন করেছি তাদের প্রায় সবাই কোন না কোনভাবে আহত হয়েছি। কিন্তু সি ক্যাটাগরির তালিকায় যাদের নাম দেখছি, তাদের অধিকাংশই আহত নন। আমরা তো আহতের তালিকায় নাম তুলি নাই। তালিকা যাচাই বাছাই করা উচিত।
’জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহত যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য ও ছাত্র প্রতিনিধি আরএস হিমু বলেন, শুধু ভোলার আন্দোলনে আহতদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি । এই জেলার বাইরে রাজধানী ও বিভিন্ন জেলায় আন্দোলনে আহতদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে । ১১জুলাই ভোলায় প্রথম আহত হওয়া ২ থেকে ৩জনের নাম আমি নিজেই তালিকায় রেখেছিলাম, চূড়ান্ত তালিকায় তাদের দেখতে না পেয়ে আমি নিজেই চমকিত হয়েছি । শেষের ২৬জনের চূড়ান্ত তালিকার মধ্যে যেহেতু ভুয়া কয়েকজনের নাম অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে, আমরা বিষয়টি ভালো করে পুনরায় যাচাই-বাছাই করা যায় কিনা এ বিষয়ে সভাপতিকে জানাবো।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, চূড়ান্ত তালিকায় ভুয়া আহতদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কয়েকজন এসে আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন, আমি নাম উল্লেখ্য করে লিখিত অভিযোগ করার জন্য বলেছি। তালিকায় ত্রুটি থাকলে প্রয়োজনে পুনরায় তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সংশোধন করা হবে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।