শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

চাঁদা না দেয়ায় ৪ হাজার একর জমির আমন চাষ বন্ধ

মহিব্বুল্যাহ ইলিয়াছ মনপুরা উপজেলা প্রতিনিধি। 

ভোলার মনপুরার চর কলাতলী ইউনিয়নে চাঁদা না দেয়ায় ৪ হাজার একর জমির আমন চাষ বন্ধ করে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়নের  সংকর মাষ্টার এবং ওসমান ডাক্তার বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় কলাতলী ইউনিয়নের ৮ টি ওয়ার্ড এর প্রধান ফসল  আমন ধান চাষের প্রায় ৪ হাজার একর জমিতে  চাষের প্রস্তুতি নেয়ার  সময় স্থানীয় প্রভাবশালী সংকর মাষ্টার এবং ওসমান ডাক্তারের নেতৃত্বে প্রতি কানি জমিতে ব্যক্তি ভেদে ৮-১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। তাদেরকে টাকা না দিলে জমিতে চাষ করতে দিবেনা বলে অভিযোগ উঠেছে এ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। চর কলাতলীতে প্রায় ১০হাজার কৃষক আয়ের অন্যতম মাধ্যম হলো আমন ধান।

 চাঁদা না দেওয়ায় জমিতে চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় কৃষকরা। এতে কলাতলী ইউনিয়ন এর ১০ হাজার কৃষকের ৪ হাজার একর জমির আমন ধান চাষাবাদ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় কলাতলী ইউনিয়ন এর ৮ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা নাজু মাঝি বলেন, ২০২৪ সালে কলাতলী নতুন ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষণা হওয়ার আগে থেকে  সংকর মাষ্টার,ওসমান ডাক্তার সহ কিছু লোক  বিভিন্ন সময় মানুষ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে। করিম উল্লাহ জানান এই চাঁদা নেওয়ার সময় সবাইকে বলে কলাতলীর ভয়াদার দের নামে একটি মামলা আছে ওই মামলা চালানোর জন্য এই টাকা নিচ্ছে। কিন্তু এই কলাতলী  ২০০৩ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো  তখন বাচ্ছু চৌধুরী সাহেব  উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলো। তখন তার এবং খালেক চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে এই চরে সাধারণ  লোকজন বসবাস করার সুযোগ পায়। তখন থেকেই সাধারণ মানুষ চরে বসবাস করে আসছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কৃষক জানান যখন বনবিভাগ ভয়াদারদের নামে একটি মামলা দেয়। তখন থেকে সাধারন মানুষ চরের জমি দখল করেন চাষাবাদ করতে থাকে ।  যাহারা ভয়াদারদের মধ্যে অসহায় আছে তারাই এই চরে আসছে। দীর্ঘ দিন কষ্ট করার পর বাগান পরিষ্কার করে চরকে বসবাসের উপযোগী করা অসোহায় মানুষের জমি দখল করার চেষ্টা করেন স্থানীয় প্রভাবশালী সংকর মাষ্টার এবং ওসমান ডাক্তার সহ বিভিন্ন নেতা কর্মীরা।

এ ব্যাপারে সংকর মাষ্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ২০০৩ সাল থেকে ২৫০০ একর জমি নিয়ে আমরা মামলা করছি। মামলায় প্রায় ১২লক্ষ টাকা খরচ করেছি।মামলার খরচের জন্য আমরা বয়াদারদের নিকট থেকে টাকা নিচ্ছি।

এই বিষয়ে ওসমান ডাক্তার বলেন,আমরা কারো কাছ থেকে চাঁদা নেয়না। কলাতলীর চরের জমি নিয়ে মামলা আছে সেই মামলার খরচ এর জন্য সকলের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। আমাদের কলাতলীর ১১ সদস্য বিশিষ্ট  একটি কমিটি আছে। সেই কমিটির সভাপতি বাচ্চু চৌধুরী। সভাপতি এই বিষয়ে সব জানেন।

এই বিষয়ে আলহাজ্ব সামছুউদ্দিন বাচ্চু চৌধুরী মুঠোফোনে জানান,”আমি চাঁদাবাজির বিষয়ে কিছুই জানিনা। এই দেশের জনগণ আমার আমি কেন তাদের কাছ থেকে চাঁদা নেবো। যে বা যাহারা কলাতলী তে চাঁদাবাজি করবে তাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যাবস্থা নেওয়ার প্রশাসনকে বলব”।

আরো পড়ুন

বাবুগঞ্জের ইউএনও’র বদলি স্থগিতের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি।। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয়, জনবান্ধব ও মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *