শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ২০

নিজস্ব প্রতিবেদক।। 

এক দফা দাবিতে বরিশাল-ভোলা সড়ক ব্লকেড কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ও সেনাহাহিনীর সাথে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জ কমপক্ষে ২০শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে এ সংঘর্ষ হয়।

এদের মধ্যে ১৩জনকে বরিশাল শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জনভোগান্তি লাঘবে ২০মিনিট সময় দেওয়ার পরও সড়কে অবস্থান থেকে সরে না আসায় বলপ্রয়োগ করে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি কাঠামো বাতিল করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি মডেলের আদলে স্বতন্ত্র নিশ্চিতের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে।

আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি কাঠামো বাতিল করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি মডেলের আদলে একটি কার্যকর, টেকসই ও স্বায়ত্তশাসিত কমিশন গঠন এবং প্রতিটি সরকারি প্রকৌশল কলেজের অ্যাকাডেমিক স্বতন্ত্র ও প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে সময়োপোযোগী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা। তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বেশ কিছুদিন ধরে, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির বিষয়টি কোনোভাবেই কর্ণপাত করেননি।

এমনকি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে তাদের যৌক্তিক দাবির বিষয়ে কোন আশ্বাস দেননি। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই বুধবার সকাল ১০টা থেকে কলেজের সামনের বরিশাল–ভোলা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন।

এদিকে দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড কর্মসূচি পালন করায় বরিশাল-ভোলা সড়কের উভয় পাশে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী শতাধিক যান আটকা পড়ে। এতে করে এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ আটকা পড়ে ভোগান্তির মুখে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের ২০মিনিট সময় বেঁধে দিয়ে তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলে। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালনে অনড় থাকলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের বল প্রয়োগ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।

এতে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে শুভ চন্দ্র সরকার, শাহবাজ আশরাফি, আয়নান চৌধুরি, সচেতন, অনুপম, বদর, মহিবুল্লাহ, আদিত্য কুন্ডু, রাকিব মিয়া, মেহেদী হাসান, মাহবুব, বিথী, ইয়াদ ও নয়নসহ কমপক্ষে ২০জন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মধ্যে ১৩জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করায় ভোলা বরিশাল সড়কে তীব্র যানজটের সৃস্টি হয়। এতে সড়কের উভয় পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোন ভাবেই তারা সড়ক থেকে সরে যায়নি।

পরে বাধ্য হয়েই বল প্রয়োগ করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ করেনি বলেও জানান তিনি।

আরো পড়ুন

বাবুগঞ্জের ইউএনও’র বদলি স্থগিতের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি।। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয়, জনবান্ধব ও মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *