নিজস্ব প্রতিবেদক।।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারডুবির পর পাঁচদিন ভেসে ১৫জেলের মধ্যে ৯জেলে ফিরেছেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬জন। মঙ্গলবার ভোরে উদ্ধারকৃত জেলেদের কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জেলেরা হলেন, রাজিব, রাহাত, হাসান, হাসান-২, সাগর, সাগর-২, গিয়াস, হারুন-২ ও ইব্রাহিম। নিখোঁজ রয়েছেন— আব্দুর রশিদ, নজরুল ইসলাম, রফিক, ইদ্রিস, হারুন ও কালাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩জুলাই সকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি বাজার এলাকা থেকে ছয়টি মাছধরা ট্রলার একযোগে গভীর সমুদ্রে যায়। এর মধ্যে ‘এফবি সাগরকন্যা’ নামের একটি ট্রলার ২৬ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের শেষ বয়া থেকে প্রায় ৭৫কিলোমিটার গভীরে প্রবল ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের ভাষ্য, তারা জাল ফেলতেই আচমকা ঝড় শুরু হয়। এক বিশাল ঢেউ ট্রলারটিকে দুমড়ে-মুচড়ে উল্টে দেয়। এ সময় এক জেলে নিখোঁজ হন। বাকি ১৪জন বাঁশ, জাল ও ফ্লোটিং সরঞ্জামের সাহায্যে সাগরে ভেসে থাকেন। পরবর্তী চারদিনের মধ্যে ঝড়ে ও ঢেউয়ের তোড়ে আরও পাঁচজন নিখোঁজ হয়ে যান। বাকি ৯জন সোমবার রাতে শেষ বয়া এলাকায় ভেসে উঠলে সেখানে থাকা দুটি মাছধরা ট্রলার তাদের উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় ট্রলার মালিক কিশোর হাওলাদার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। বাকি নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।