ভোলা জেলা প্রতিনিধি।।
শিক্ষা সেবায় আনন্দ, গড়বো নতুন দিগন্ত
— এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসর ভোলা জেলা শাখা আয়োজন করেছে ব্যতিক্রমধর্মী চিত্রাঙ্কন ও সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা। ভোলার শিক্ষাঙ্গনে এ আয়োজন সৃষ্টি করেছে সৃজনশীলতার অনন্য আবহ।
ভোলা শহরের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ১ম থেকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা
এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ও প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় শিশু-কিশোরদের সৃজনশীলতার উৎসবে।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিশুদের মুক্ত কল্পনা আর রঙতুলির ছোঁয়ায় ফুটে ওঠে প্রকৃতি, দেশপ্রেম, স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের বাংলাদেশ। অন্যদিকে সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা তুলে ধরে তাদের শৈল্পিক প্রকাশভঙ্গি ও মননশীলতা। বিচারকদের মতে, শিশুদের কাজগুলো শুধু সুন্দরই নয়, বরং মেধা ও মননের বহিঃপ্রকাশ।

আয়োজনটি পরিচালনায় ছিলেন ফুলকুঁড়ি আসর ভোলা জেলা শাখার সহকারী পরিচালক হাসানুল বান্না এবং অর্থ সম্পাদক জিনান মাহমুদ ভাইয়া যাদের নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা সফলভাবে সম্পন্ন হয়। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন শাখা কর্মীপরিষদের নিবেদিতপ্রাণ তরুণ কর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে ফুলকুঁড়ি আসর ভোলা জেলা শাখার উপদেষ্টা সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর বলেন—
“শিশু-কিশোরদের প্রতিভা বিকাশে এ ধরনের সৃজনশীল আয়োজন অত্যন্ত জরুরি। চিত্রাঙ্কন ও হাতের লেখা শুধু শিল্প নয়, এটি মনন গঠনেরও মাধ্যম। আমরা চাই, নিয়মিত এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক।”
বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ ভোলা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা। নদী-সাগরের মেলবন্ধন আর সবুজ প্রান্তরে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোররা এই পরিবেশে প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখে। ফুলকুঁড়ি আসরের এ উদ্যোগ তাদের সেই স্বপ্নকে রঙিন করে তুলছে।
শিক্ষাবিদ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মতে— এ ধরনের প্রতিযোগিতা শিশুদের শুধু পড়াশোনায় উৎসাহী করছে না, বরং তাদের আত্মবিশ্বাস, শিল্পচেতনা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।