আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি।।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় তিন কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দের কারনে যানবাহন ও লোকজনের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি ছয় বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন ঠিকাদার নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ করার কারনে তিন বছর পরেই সড়কটি ধ্বসে ও খানাখন্দে পরিনত হয়। সড়কের দুই পাশে ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহন ও লোকজনের চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। জনগুরুত্বপূর্ন এই সড়টি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্র্থীসহ স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের পশ্চিমপাড় ওয়াপদা সড়কে বাগধা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে আগৈলঝাড়া উপজেলার সীমানা পর্যন্ত তিন কিলোমিটারের সড়কটি নির্মানের তিন বছরের মধ্যে সড়কের খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। খানাখন্দ ও সড়কের দুই পাশে ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে লোকজন ও যানবাহন চলাচলে সমস্যায় পরতে হচ্ছে আমবৌলা, বাগধাসহ ৫ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষের।
গত ছয় বছর পূর্বে ওই সড়কটি ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করেছিল আওয়ামীলীগ সমর্থিত এক ঠিকাদার। তখন আওয়ামীলীগ নেতাদের কারনে কেউ নি¤œমানের কাজের প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজার হাজার লোকজন চলাচল করছে। খানাখন্দ সড়ক হওয়ায় ৫ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে ১ ঘন্টার উপরে, তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান শিক্ষার্থীসহ চলাচলকারীরা।
বাগধা গ্রামের কলেজ ছাত্রী নাসিমা খানম বলেন, এই সড়ক দিয়ে কলেজে যাওয়ার সময় সমস্যায় পরতে হয়। ভাংঙ্গাচুরা সড়কের কারনে ৫ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। ভ্যানে গেলে শরীর ব্যাথা হয়ে যায়।
ইজিবাইক চালক আব্দুল করিম মিয়া বলেন, এই ভাঙ্গাচুরা সড়ক দিয়ে গাড়ী চালাতে গিয়ে প্রতিদিনই গাড়ির যন্ত্রপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। যার কারনে যাত্রীদের নিয়ে সমস্যায় পরতে হচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের চলাচলের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই সড়কটি টেন্ডারের মাধ্যমে সংস্কার কাজ করা হবে।