পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর জৈনকাঠী ইউনিয়নে মেয়েকে রক্ষা করতে গিয়ে বাবা মোশারেফ খান খুন হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের সেহাকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসীসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে নিহতের স্ত্রী রুমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী খুব ভালো মানুষ আছেলে। ওরা আমার স্বামীরে মাইরা ফালাইছে। আমার মেয়ের মতো আর কোনো মেয়ে যেন বাপহারা না হয়। আমি এই খুনের বিচার চাই, ওগো ফাঁসি চাই।
এ সময় উপস্থিত এলাকাবাসীও খুনের বিচার দাবিতে নানা স্লোগান দেন। তারা বলেন, মোশারেফ অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত, কারো সঙ্গে তার কোনো শত্রুতা ছিল না। নিরীহ একজন মানুষকে এভাবে খুন করা হয়েছে, আমরা এর বিচার চাই।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর রাত আনুমানিক ২টার দিকে সেহাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা মোশারেফের ঘরের সিঁধ কেটে ঢোকে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি। তারা ঘরে ঢুকে তার দশম শ্রেণির ছাত্রী মেয়ে মালা আক্তারের কক্ষে প্রবেশ করে। মালা বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার করলে বাবা মোশারেফ ছুটে গিয়ে এক জনকে ধরে ফেলেন। তখন অন্যজন ধারালো ছুরি দিয়ে মোশারেফকে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে গুরুতর আহত মোশারেফকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের মেয়ে মালা আক্তার বলেন, আমার বাপের খুন হওয়া আইজ আট দিন হইছে, কিন্তু পুলিশ এখনও কাউরে ধরছে না। আমি আমার বাপের খুনিদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তদন্তেরও অনেক অগ্রগতি হয়েছে। অজ্ঞাত আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে, খুব শিগগিরই গ্রেপ্তার সম্ভব হবে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।