আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী গোলাম কিবরিয়া সিকদার ও তার ছেলে শাহিন সিকদারের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সেরাল-ধামুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা সড়কের আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়ন সংলগ্ন সড়কের দুই পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মান করছেন মিশ্রিপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী গোলাম কিবরিয়া সিকদার ও তার ছেলে শাহিন সিকদার।
ওই স্থানে সড়কের পাশে ১৫-২০ বছর ধরে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে আসছেন স্থানীয় আলামিন আকন, কবির হোসেন, হুমায়ন সরদার, আবু সালেহ জুয়েল ও মাইনুল আকন। ওই সকল ব্যবসায়ীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় ব্যবসা করে আসলেও ওই জায়গা নিজেদের দাবী করে কিবরিয়া সিকদার আটটি দোকান ঘর নির্মানের জন্য পাকা স্থাপনার কাজ চলমান রয়েছে।
একই ব্যক্তি সড়কের পশ্চিম পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে চারটি দোকান ঘর নির্মানের জন্য ফ্লোরের ঢালাই কাজ সম্প্রতি শেষ করেছে।
ব্যবসায়ী আলামিন আকন ও কবির হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদ করায় তাদের বিরুদ্ধে আগৈলঝাড়া থানায় মিথ্যা চাঁদা দাবীর অভিযোগ করেন কিবরিয়া সিকদার।
এব্যাপারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলামিন আকন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা সড়কের পাশে ২০ বছর ধরে আমরা কয়েকজন ব্যবসা করে আসছি। ওই জায়গা নিজেদের দাবী করে জোর পূর্বক কিবরিয়া সিকদার ও তার ছেলে শাহিন সিকদার আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে পাকা ভবন নির্মান করছেন।
অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া সিকদার বলেন, আমার জায়গায় আমি দোকান ঘর নির্মান করছি। কতিপয় ব্যক্তি আমাকে হয়রানি করার জন্য আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিয়া তানজিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের জায়গাটি নির্ধারন করার পরে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
এব্যাপারে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মোহাইমিনুল ইসলাম আবীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যাতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমি সরেজমিন দেখার জন্য লোক পাঠিয়েছি। পাকা ভবন নির্মান কাজ বন্ধ রাখার জন্য আজই তাদের চিঠি দেওয়া হবে।