বাংলাদেশ বাণী ডেস্ক॥
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে। ভারতীয় গণমাধ্যম প্রতিদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা প্রতিদিন মিথ্যা রিপোর্ট প্রচার করছে।’ ভারতীয় গণমাধ্যমে যাতে মিথ্যা রিপোর্ট দিতে না পারে এ জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাইলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বরিশাল পুলিশ লাইন্সে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি কোনও ভুল করে থাকি তা যেমন বলবেন, একইসঙ্গে আমার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতি পেলে তাও বলেন। সে ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু মিথ্যা রিপোর্ট দেবেন না। ভারতীয় মিডিয়ায় মিথ্যা রিপোর্ট দিতে দিতে তাদের সত্য রিপোর্টও এখন মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে।’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতে প্রচার করা মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকর্মীদের জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
পুলিশের আস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে এ আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এ জন্য সময়ের প্রয়োজন। ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে, সেখানে সময় দিতে হবে। এ জন্য অস্থির হলে চলবে না।’ আর এখন কেন এত অস্থিরতা, প্রশ্ন রেখে উদাহরণ তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে মাদক বড় একটি সমস্যা। যারা মাদক বহন করে তাদের শুধু ধরছি, মূলহোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। আমরা হোতাদের ধরার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে সব বাহিনী কাজ করছে।’
শেখ হাসিনার পতনের পর হওয়া মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মামলায় অনেক নির্দোষকে আসামি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ যদি এমন মামলা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বাহিনীগুলোকে জনবান্ধব করে তুলতে হবে। জনবান্ধব করার জন্য আমাদের কি চেষ্টা- সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের বাহিনীর অনেক সমস্যা আছে- এসব সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কীভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’
এর আগে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশ লাইন্সে পৌঁছালে সেখানে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। সেখানে বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, আইজিপি ময়নুল ইসলাম, ৭ম পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল আজিম, বিজিবির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানসহ মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।