বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি॥
বাবুগঞ্জের মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির ২ টি গ্রুপের মাঝে মিছিল ও সভায় পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ। ১৪ নভেম্বর বিকালে উভয়ের সভা ও মিছিলে বাঁধা এবং সংঘর্ষে আহাত ১৫ জন। এসময় ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক অহেদুল ইসলাম খান এর ১০ জন সমার্থক ও অপর পক্ষের ৭ জন গুরুতর আহাত হয়। গুরুতর আহতদের মধ্যে ৭ জন শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহাত অহিদুল ইসলাম খান সমর্থক রা হলেন, বিএনপি নেতা দুলাল শরীফ, উজ্জাল সিং, নাঈম হোসেন , রুবেল হোসেন , বশির মোল্লা, রাজিম হাওলাদার, আয়নাল, বাবুল হাওলাদারসহ ১০-১৫ জন। অপর পক্ষের আহতরা হলেন- বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম, মোঃ মিজান, গৌরাংগ সহ ৭ জন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিবেশ শান্ত করেন এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
জানা যায়, সাম্প্রতিক উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই কমিটির পদ বঞ্চিতরা ১৩ নভেম্বর মাধবপাশা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল করে। ১৪ নভেম্বর ওই প্রতিবাদ মিছিলের পাল্টা মিছিল আহবান করে মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপি। মিছিল উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খন্ড খন্ড মিছিল আসতে শুরু করে মাধবপাশা বাজারে। এসময় ৯নং ওয়ার্ড ও ৮ নং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মাধবপাশা মাছ বাজার এলাকায় আসলে একই স্থানে বিএনপির একাংশের একটি সভা থেকে দুই গ্রুপের সাথে বাক বিতান্ডা শুরু হয়। মুহুর্তেই উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন লাঠি সোটা ও দেশিয় অস্্র সহ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এত ঘটনা স্থলের অনেকে গুরুতর আহাত হন।
মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক অহেদুল ইসলাম খান বলেন, বৃহস্পতিবার আমাদের একটি মিছিলের প্রোগ্রাম ছিলো। স্থানীয় কিছু বিএনপি নামধারী সন্ত্রাসীরা আগে থেকেই দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেয়। তারা বিএনপির কোন কমিটিতে নেই। পরে তারা আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়। আমাদের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বিষয়টি জানিয়েছি।
অপরদিকে বিএনপি বিএনপি নেতা রিয়াজ হোসেন জানান আমাদের একটি পূর্ব নির্ধারিত সভা ছিলো মাধবপাশা মাছবাজারে । সেখানে অহিদুল ইসলাম খানের লোকজন আওয়ামীরীগের সুবিধা গ্রহনকারী কিছু ভারাটে লোকজন নিয়ে আমাদে উপর হামলা করে। উভয় গ্রুপ ই পৃথক ভাবে হামলাকারীদের বিচার দাবি করেছে ।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির সিকদার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে সাবধান করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত যা ঘটেছে এব্যাপারে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করবো। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।