নিজস্ব প্রতিবেদক॥
বরিশালের আধুনিক সাংবাদিকতার পথিকৃত ঐতিহ্যবাহী বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির হোসেনের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৬ সালের ২৫ নভেম্বর আজকের এই দিনে দুনিয়ার মায়া কাটিয়ে পরকালের পারিজমান তিনি। তাকে হারানোর ১৮ বছর পরও সাংবাদিকদের হৃদয়জুড়ে আছেন সজ্জন মুনির হোসেন।
এদিকে, ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সাংবাদিক মুনির হোসেনের স্মরণে পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া-মোনাজাত আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় সোমবার সকালে কবর জিয়ারত করা হবে।
প্রয়াত মুনির হোসেন বরিশাল প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক মতবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও সাপ্তাহিক ইতিবৃত্তের প্রকাশক-সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনের মেঝ ভাই। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন রাজপথ থেকে উঠে আসা একজন প্রগতিশীল রাজনীতিক। বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন দীর্ঘ বছর।
মাত্র ৪৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির হোসেন। সাংবাদিকতা এবং রাজনীতির পাশাপাশি একজন দক্ষ সাংস্কৃতিক সংগঠক ছিলেন তিনি। বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুনির হোসেন।
নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষে থেকেছেন তিনি। শাসকের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে বরিশালের জাগ্রত মানুষের মাঝে ঐক্যের প্রয়াস চালিয়েছেন মুনির হোসেন।
সাপ্তাহিক লোকবাণী দিয়ে সাংবাদিকতা জীবন শুরু হলেও, বরিশালের প্রথম দৈনিক দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম বার্তা সম্পাদক হিসেব দায়িত্ব পালন করেছেন মুনির হোসেন। জাতীয় দৈনিক জনতার বরিশাল প্রতিনিধি ছিলেন তিনি।
দৈনিক আজকের বার্তার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন দীর্ঘদিন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের বরিশাল প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সততার সাথে। তার সম্পাদিত সাপ্তাহিক ইতিবৃত্ত ম্যাগাজিন বেশ আলোড়ন তুলেছিলো বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের পাঠকের হৃদয়ে। বর্তমানে সেই পত্রিকার প্রকাশনা এবং সম্পাদনা করছেন তাঁরই ছোট ভাই বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক মতবাদের সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন।
প্রয়াত মুনির হোসেনের ঘণিষ্ঠ সহকর্মী এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, ‘মুনির হোসেন সাংবাদিকতা পেশায় জীবনে অনেক অবদান রেখে গেছেন। সাংবাদিকতায় তাঁর কর্মকা- ছিল প্রশংসনীয়। তিনি সাংবাদিকতা পেশাকে কলুষ মুক্ত রেখে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতা করে গেছেন। এ কারণেই মৃত্যুর ১৮ বছর পরও তিনি সাংবাদিকদের পরম বন্ধু এবং সজ্জন হয়ে বেঁচে আছেন সকলের মাজে।