বাংলাদেশ বাণী ডেস্ক॥
আগামী তিন দিনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আল্টিমেটাম দিয়ে প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীদের একটি দল।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: আবু সায়াদ বিন মাহিন সরকার, তাহমীদ আল মুদ্দাসসীর চৌধুরী, আব্দুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান, মোহাম্মদ সাকিব, আবিদ হাসান রাফি, আব্দুর রহমান আল-ফাহাদ এবং আরমানুল ইসলাম।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, স্বৈরাচার পতনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, তার নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে, এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কারের মডেল গড়ে তোলা সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন গণতান্ত্রিক চর্চার সে সুযোগ তৈরি করতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক, অভ্যুত্থানের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এতে আরো বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ডাকসু পুনরায় সক্রিয় করার জন্য একটি কমিশন গঠন করা হলেও তার সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন গঠনতন্ত্র সংশোধনের যে প্রস্তাবনা দিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা বা অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে তাদের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যা বরাবরই জাতীয় নেতৃত্বে পথপ্রদর্শক, এ প্রক্রিয়ায় পিছিয়ে রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিতে বলেন, ‘আগামী তিন দিনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানাচ্ছি। এ রোডম্যাপের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সংস্কারের সময় নির্দিষ্ট করতে হবে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হয়, তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হব। এর ফলে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।’