আগৈলঝাড়ায় জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ

আগৈলঝাড়া  প্রতিনিধি: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দেশী প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দরিদ্র জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আগৈলঝাড়া মৎস্য অধিদপ্তর সরকারী নির্দেশনাকে অমান্য করে নিজেরা সলাভবান হয়ে রোগাক্রান্ত ত্রবং ওজনে কম বকনা বাছুর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে সুবিধাভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করলেও কেউ কিছু বলতে সাহস করছে না।

স্থানীয় ও জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে দেশী প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আগৈলঝাড়ায় দরিদ্র ৩৫জন জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর ২৩ জানুয়ারী বিতরন করা হয়। প্রতিটি বকনা বাছুর রোগমুক্ত, ১৬ মাস বয়স ও ৮০ কেজি ওজনের বকনা বাছুর হওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে এসব নিয়ম অমান্য করে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর নিজেরা লাভবান হয়ে রোগাক্রান্ত ও ওজনে কম দেওয়া গরু বিতরণ করেন।

তবে পূর্ব গোয়াইল গ্রামের গৌরাঙ্গ জয়ধর, বাটরা গ্রামের বিপুল বাড়ৈ, বাহাদুরপুর গ্রামের রমেশ সরকার, বড় বাশাইল গ্রামের তৈয়ব আলী
মৃধা, পূর্ব কাঠিরা গ্রামের ইলিয়াস খান, বাশাইল গ্রামের বাদশা মৃধার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ গরু রোগাক্রান্ত, ওজনে কম, বয়স কমসহ গরুর আকার ভালো নয়।

একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গরু ক্রয়ের ঠিকাদারের সাথে সমঝোতা করে নিজেরা লাভবান হয়ে রোগাক্রান্ত গরু ও ওজনে কম বকনা বাছুর বিতরণ করেছেন। এব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক বলেন, আমরা বকনা বাছুর বিতরনে কোন অনিয়ম করিনি। আমরা সরকারী নিয়ম অনুযায়ী বকনা বাছুর বিতরণ করেছি। বিতরনের এক মাসের মধ্যে কোন গরু মারা গেলে পুনরায় তাকে বকনা বাছুর বিতরণ করা হবে।

এব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রতিটি গরু ১শত থেকে ১শত ১০কেজি ওজনের বকনা বাছুর বিতরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। আমি এর বেশী কিছু বলতে পারবো না।