বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

কলাপাড়ায় আগাম তরমুজে বাম্পার ফলন, ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা

মো. মাহতাব হাওলাদার, মহিপুর প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আগাম তরমুজে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে তরমুজ বিক্রি, আর আশানুরূপ দাম পেয়ে উচ্ছ্বসিত উপকূলের চাষিরা। কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩,৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় তিনগুণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ও সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করলে কৃষকরা আরও লাভবান হবেন।
সরেজমিনে কয়েকটি তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন করে দেখা যায়, গাছে গাছে সুস্বাদু তরমুজ, আর চাষিদের চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক। কেউ তরমুজের পরিচর্যায় ব্যস্ত, কেউ আবার বিক্রির জন্য ক্ষেত থেকে পাকা তরমুজ সংগ্রহ করছেন। ক্রেতারা আগ্রহ ভরে তরমুজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন।
তুলাতলীর তরমুজ চাষি মো. খোকন জানান, তিনি এ বছর ৪ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। চাষাবাদ ও ওষুধসহ মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা, আর এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার তরমুজ।
লালুয়ার চাষি মো. রাসেল বলেন, ‘আমি ২ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি এবং লাভের পরিমাণ ভালো। তবে রমজান উপলক্ষে বাজারজাত করতে পারলে আরও বেশি দাম পাওয়া যেত। এ বছর খাল শুকিয়ে যাওয়ায় পানির সংকট ছিল, যদি খাল কেটে সেচব্যবস্থা নিশ্চিত করা যেত, তাহলে আমাদের কষ্ট কম হত।’
তরমুজ কিনতে আসা পাইকারী ব্যবসায়ী স্বপন হাওলাদার বলেন, ‘আগাম তরমুজের ভালো চাহিদা রয়েছে। আমরা এখান থেকে পাইকারি ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছি। আশা করছি, বাজার ভালো থাকলে ব্যবসায় লাভবান হব।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসাইন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আগাম তরমুজের ৪০০ হেক্টর জমির ফলন বাজারজাত করা হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও রোগবালাই কম থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে, ফলে কৃষকরা ভালো লাভ পাচ্ছেন। কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।’

আরো পড়ুন

মেহেন্দিগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ঐতিহ্য

এইচ এম আনিছুর রহমান, মেহেন্দিগঞ্জ: মাটির তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবহার শুরু হয়েছে প্রাচীনকাল থেকে। আমরা দৈনন্দিন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *