এরশাদ সোহেল: কোটি বাঙালীর চেতনাজুঁড়ে বিস্তৃত অমর একুশে বইমেলা। এ যেনো চেতনার এক মহাসমুদ্র।বাংলা একাডেমির বর্ণিল এই আয়োজনে লেখক-পাঠকদের পাশাপাশি শিশুরাও মুখিয়ে থাকে বইকেনার অপেক্ষায়।
রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরের পরপরই ভীড় বাড়তে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পুরো মেলা প্রাঙন। শিশু চত্বরে শিশুদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এবারের মেলায় সিসিমপুর না থাকলেও শিশু চত্বরের বিভিন্ন রাইড আর নান্দনিক স্টলগুলোকে দারুণ উপভোগ করছেন শিশুরা। উত্তরা থেকে আসা দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু এলিজা তাসনিম সারা বলেন,মেলায় আসতে পেরে আমি খুব খুশি।মায়ের সাথে আরো বন্ধুরাও এসেছে। অভিভাবক সায়েম চৌধুরী বলেন,তিনি দুই ছেলে নিয়ে এসেছেন মিরপুর থেকে। শিশুরা মেলায় বিভিন্ন রাইডে উঠতে পারছে এবং চিত্রাঙ্কনে অংশ নিতে পেরে ভীষণ উচ্ছসিত।পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ধরনের বই কিনতে পেরেছে। পঙ্খিরাজ প্রকাশনীর মালিক দেওয়ান আজিজ বলেন,তুলনামূলক বিক্রি কম হলেও মেলায় শিশু-কিশোর এবং বড়দের উপস্থিতি ছিলো বেশী। জলপরী প্রকাশনীর স্বত্তাধিকারী সাফিয়া খন্দকার রেখা বলেন,এবারের বইমেলায় শিশু-কিশোররা কিশোরগল্প, এ্যাডভেঞ্চার এবং রহস্যময় বিভিন্ন গল্পের বইগুলোর দিকে ঝুকছে বেশি। তাছাড়া শিশুদের অনেক বেশি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে এবারের বইমেলায়।
