নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত প্রায় সাড়ে হাজারের প্রায় ৪হাজারই বরিশাল বিভাগের এবং এই বিভাগের বরগুনা জেলায় আক্রান্ত সর্বোচ্চ। জেলাটিতে ডেঙ্গুর এমন ভয়াবহ অবস্থার পেছনে সুপেয় পানির সংকট মেটাতে ধরে রাখা বৃষ্টির পানি বলে মাঠ পর্যায়ের গবেষণায় উঠে এসেছে।
বুধবার বিকেলে এক সভায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন। উপস্থিত ছিলেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. রত্না দাস।
আইইডিসিআর বলছে, ৪৩টি আক্রান্তের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে জানা গেছে, ৪৬শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে ডেঙ্গুর সেরোটাইপ ডেন-৩ দিয়ে। ডেন-২ দিয়ে ৩৯দশমিক ৫শতাংশ এবং ডেন-২ ও ৩ দিয়ে ১৪শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে। একসঙ্গে দুটি ধরণের আক্রান্তরা অধিক ঝুঁকিতে বলে ধারণা করছে আইইডিসিআর।
আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, ‘২৫০শয্যা বরগুনা সদর হাসপাতালে অতিরিক্ত ৮জন চিকিৎসক ও ২জন কনসালটেন্ট পাঠানো হয়েছে। তবে উৎস নির্ধারণ না করে এডিস নিধন করতে না পারলে শুধু ডাক্তার বাড়িয়ে সংকট সমাধান হবে না।
আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. রত্না দাস বলেন,’ডেঙ্গুর বিস্তার সবচেয়ে বেশি বরগুনার সদর উপজেলায়। যেখানে ৫৬শতাংশই আক্রান্ত হয়েছে বাসা বাড়ি থেকে। ডেঙ্গুর লার্ভার সর্বোচ্চ ৩৮শতাংশের উৎস প্লাস্টিকের ড্রামে জমানো পানি। সুপেয় পানির সংকট মেটাতেই বৃষ্টির পানি ধরে রাখা হয়।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।