শফিকুল ইসলাম, বানারীপাড়া: বরিশালের বানারীপাড়া বন্দরবাজার সংলগ্ন বাইপাস সড়কটি এখন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের জন্য অবসর সময় কাটানো ও ঘুরাঘুরির অন্যতম জনপ্রিয় একটি স্থান হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন বিকালে দূরদূরান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা এই এলাকায় ভিড় করেন প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
বাইপাস সড়কটির আশপাশে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকান, যেখানে পাওয়া যায় মুখরোচক হালিম, ফুচকা, চটপটি এবং নানা ধরনের খাবার। ফেরিঘাট সংলগ্ন দোকানগুলোতে পাওয়া যায় ১২-১৫ প্রকারের ভিন্ন স্বাদের আচার। সন্ধ্যার সময় ফেরিঘাট এলাকায় বসে যায় স্থানীয় জেলেদের মাছের বাজার, যেখানে পাওয়া যায় তাজা ইলিশসহ নানা প্রজাতির নদীর মাছ।
উপজেলার দক্ষিণ নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ রাস্তার এক পাশে রয়েছে ব্যস্ত বন্দরবাজার এবং অপর পাশে বয়ে চলেছে শান্ত সন্ধ্যা নদী। সূর্যাস্তের সময় নদীর ওপর সূর্যের প্রতিচ্ছবি এতটাই মোহনীয় যে দর্শনার্থীরা জায়গাটিকে আদর করে ডেকে থাকেন “মিনি কুয়াকাটা” নামে।
প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই এলাকায় বিপুল সংখ্যক মানুষ ভ্রমণে আসেন। কেউ পরিবার নিয়ে, কেউ বা প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে। তবে দর্শনার্থীদের জন্য এখানে নেই কোনো বিনোদনমূলক ব্যবস্থা, নেই জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের মতো কোনো শৌচাগারও। কিছু দর্শনার্থী অভিযোগ করেন, নদীর তীরে বসে বিশ্রাম বা কথা বলার জন্য নেই কোনো উপযুক্ত বসার জায়গা।
অনেকেই মনে করেন, যদি এই এলাকাটিকে পরিকল্পিতভাবে সাজিয়ে বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা পার্কের আদলে উন্নয়ন করা হয়, তাহলে এটি শুধু বানারীপাড়া নয়, বরং পুরো বরিশাল জেলার মানুষের জন্য একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগেও বানারীপাড়া পৌরসভার মানুষের জন্য খোলামেলা পরিবেশে হাঁটার উপযুক্ত জায়গা ছিল না।বাইপাস সড়কটি নির্মাণের পর এখানকার মানুষ এখন নির্বিঘ্নে পরিবার নিয়ে হাঁটতে ও সময় কাটাতে পারছেন।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।