মহিব্বুল্যাহ ইলিয়াছ, মনপুরা প্রতিনিধি
ভোলার মনপুরার ৫ নং চর কলাতলী ইউনিয়ন এ বিজিএফ চাউলের কার্ড দিয়ে অসহায় নারীদের একাধিক বার ধর্ষন করার অভিযোগ উঠেছে এলাকার প্রভাবশালী রহিম মাঝি ওরপে রহিম শিয়াল এর বিরুদ্ধে।
চর কলাতলীর ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আঃরব মাঝির বাড়িতে রহিম মাঝির ধর্ষিতা নারী ফাতেমার মোবাইল চার্জ দিলে তার মোবাইলে থাকা ছবি দেখতে গিয়ে আঃ রব এর মেয়ে কল রেকর্ডিং গুলো শুতে পায়। রেকর্ডিং ফাঁস হওয়ায় আঃ রবকে রহিম মাঝি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মারধর করে এবং রাতের আধাঁরে আঃ রব সহধর্মিণী জোছনাকে মুখ চেপে তুলে নিয়ে যায় রহিম মাঝির লোকরা এবং তাদেরকে মারধোর করে বলেই ১লা জুলাই আঃ রব এর সহধর্মীনী জোছনা বেগম বাদী হয়ে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় মামকা করেন। তারা হলেন মৃত শাহেআলম মাঝির ছেলে মোঃ রহিম মাঝি (৫০),মোঃ সবুজ মাঝির ছেলে মোঃ সুমন (৩০),নোমানের ছেলে ইমন মোঃ অজিদের ছেলে মোঃ শাকিল (২২)মোঃ রহিম মাঝির ছেলে মোঃ ইমরান (৩০) তারা সবাই চরকলাতলীর ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে জোছনা বেগম বলেন, “আমার স্বামী মোঃ আঃ রব কলাতলী ৭ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা। রহিম মাঝি আমার প্রতিবেশী হয় সে খুব খারাপ প্রকৃতির লোক। বিভিন্ন মহিলাদের কে বিজিএফ চাউলের কার্ড দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করাই তার নেশা। সে আমাদের এলাকার ফাতেমা নামের এক মহিলার সাথে একাধিক বার অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছে। ফাতেমার মোবাইল আমাদের ঘরে চার্জে দেওয়ায় আমার মেয়ে তার মোবাইল খুলে ছবি দেখার একপর্যায়ে ফাতেমার সাথে রহিম মাঝির কিছু কল রেকর্ডিং শুনতে পায়। আমার মেয়ে তাদের কল রেকর্ড আমাকে শুনায়। রহিম মাঝি লোক মারফতে কল রেকর্ড এর কথা জানতে পেরে আমার স্বামী রহিম মাঝিকে রেকর্ডের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে কিছু জানি না বলিলে রহিম মাঝি আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুজিতে থাকে
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ইং-১৫/০৬/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.১০ ঘটিকার সময় আমার স্বামী আঃরব গোলের খালের দোকানে গিয়ে আমাদের গরুর জন্য খাবার নিতে গেলে রহিম মাঝির নিদের্শে শাকিল আমার স্বামী আঃ রবকে একা পেয়ে তার সাথে অযথা গালমন্দ করার একপর্যায়ে তার সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরলে শাকিলের একটি স্মার্ট ফোন রাস্তার পাশে পরে যায়। তখন খোঁজাখুজির একপর্যায়ে না পেয়ে আমার স্বামীকে গালমন্দ করিতে থাকে । আমার স্বামী আঃ রব পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজনকে জানিয়ে চলে আসে। বাড়ীতে আসার পরে শাকিল, রহিম মাঝির কাছে বিচার দিলে রহিম মাঝির নির্দেশে এলাকায় একটি শালিসে ডাকে।
শাকিলের হারিয়ে যাওয়া মোবাইলটি আমার স্বামী আঃ রবকে কিনে দিতে হবে বলে রহিম মাঝি। আমার স্বামী তাদের কথামত রাজি না হলে আমাদের বড় ধরনে ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুঁজিতে থাকে। পূর্বের জের ধরিয়া ঘটনার দিন ইং-৩০/০৬/২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকার সময় আমার স্বামী আঃ রব চর কলাতলী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডস্থ ঘোলের খাল দোকানে গেলে রহিম মাঝির হুকুমে মোঃ রহিম মাঝি (৫০), মোঃ সুমন (৩০), ইমন মোঃ মোঃ শাকিল (২২) মোঃ ইমরান (৩০) আমার স্বামী আঃ রব এর সাথে অযথা গালমন্দ শুরু করে। আমার স্বামী আঃ রব তাদেরকে গালমন্দ করতে নিষেধ করিলে সকলে মিলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। তখন আমার স্বামী আঃ রব এর চিৎকার শুনিয়া আশে পাশের লোকজন আসিলে সন্ত্রাসীরা তাদের সামনে আমার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেয় পরবর্তীতে আমার স্বামী উপস্থিত লোকজনকে বিষয়টি জানিয়ে বাড়ীতে চলে আসে বাড়ীতে আসার পর আমরা সকলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরি।০১/০৭/২৫ রাতে ঘুম থেকে উঠে আমি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বেড় হই।
রাত্র অনুমান ১:৩০ ঘটিকায় বসত ঘরের সামনে উঠান দিয়ে টয়লেটে যাওয়ার সময় রহিম মাঝির নির্দেশে আমাকে পিছন থেকে ইমন, এবং সুমন দুইজন এসে আমাকে হাত এবং মুখ চেপে তুলে নিয়ে যায় এরপর আমি দস্তা দস্তি করলে মাটিতে পেলে দিয়ে আমার বুকের উপর পা দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে আমার পড়নের কাপড় চোপড় টেনে ছিড়ে ফেলে শ্লীলতাহানি করে। আমাকে তারা আমার বাড়ী হইতে রাস্তার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের সাথে দস্তাদস্তি করে কোন রকম আমার বাড়ীর পাশে থাকা পুকুরে পাড়ে যাই এরপর পুকুরের এক কোনে আমি চুপ করে বসে থাকি ইমন এবং সুমন কিছুক্ষণ আমাকে খোজাখুজি করে। আমার ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় আমার স্বামীর ডাকচিৎকার করিলে লোকজন আসে তখন ইমন এবং সুমন দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে আমি বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানায়ে থানায় অভিযোগ করি।
রহিম মাঝির কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে একাধিক কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
মনপুরা থানার এ এস আই জাফর ইকবাল জানান। রহিম মাঝির বিরুদ্ধে আমাদের কাছে কল রেকর্ডিং ফাঁস হওয়ার ব্যাপারে মারামারির একটা অভিযোগ আসে। আমরা তদন্ত করে অভিযোগ টি ননজিআর করে কোটে পেশ করি।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।