যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৫ নভেম্বরে। তবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হারিস ও রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কারণে জয়ীকে জানতে কয়েক দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
ভোট গণনা চলাকালীন, আগাম ভোটের ভিত্তিতে একটি প্রার্থী এগিয়ে থাকতে পারেন। তবে আরও ভোট গণনা হতে থাকলে প্রতিপক্ষের সঙ্গে ব্যবধান কমে আসবে।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘লাল ঢেউ’ (রেড মিরাজ) দেখা গিয়েছিল, যেখানে মনে হচ্ছিল নির্বাচনের রাতে ট্রাম্প এগিয়ে আছেন। কিন্তু পরে আসে ‘নীল ঢেউ’ (ব্লু শিফট), যখন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী বাইডেন ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে যান।
ভোট গণনার প্রথম দিকে বিভিন্ন রাজ্য রিপাবলিকান দলের ‘লাল’ রঙে ছেয়ে যাওয়ার পর পরে তা ডেমোক্র্যাটিক দলের ‘নীল’ রঙে বদলে যাওয়ার ঘটনাকে ট্রাম্প ভোটে কারচুপির মিথ্যা অভিযোগে ফাঁপিয়ে-ফুলিয়ে তুলেছিলেন।
আসলে এতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ডেমোক্র্যাটরা সাধারণত জনবহুল শহরগুলোতে বাস করেন, যেখানে ভোট গণনায় বেশি সময় লাগে। এছাড়া, ট্রাম্প পোস্টাল ব্যালট নিয়ে মিথ্যা দাবি করার পর ডেমোক্র্যাটরা দ্রুত পোস্টাল ব্যালট ব্যবহার করতে শুরু করে, ফলে সেসব ব্যালটের ভোট গণনায়ও সময় লেগে যায়।
এ বছরের নির্বাচনে ট্রাম্প আগাম ভোট ও মেইল-ইন বা পোস্টাল ভোটের জন্য উৎসাহও দিয়েছেন এবং একই সঙ্গে সমালোচনাও করেছেন।
এ বছরেও দেখা যাচ্ছে, আগেরবারের মতো পোস্টাল বা ডাকযোগে ভোটে ডেমোক্র্যাটরা রিপাবলিকানদেরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডা ইলেকশন ল্যাব পরিচালিত আগাম ভোট ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, এই পরিস্থিতি রয়েছে, যদিও রিপাবলিকানরা ব্যবধান কমিয়ে এনেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সাতটি দোদুল্যমান রাজ্য আছে, যেগুলোর ভোটের ফল জয়-পরাজয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব রাজ্যের প্রতিটির ভোট গ্রহণ এবং ব্যালট গণনার নিজস্ব নিয়ম-কানুন রয়েছে। নির্বাচনের দিন এবং এর পর কি ঘটতে পারে, তা রাজ্যভেদে ভিন্ন।