শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

বরগুনায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা-আসামির মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতবেদক।।

বরগুনার আমতলী উপজেলার এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মো. হৃদয় খান (২০) নামে একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া, এ ঘটনায় মো. জাহিদুল ইসলাম (১৯) নামে আরেক সহযোগীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৭আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ফেব্রুয়ারি বরগুনার আমতলী উপজেলায় ১২বছর বসয়ী এক কিশোরীকে অপহরণ করে হৃদয় খান। পরে ওই কিশোরীর স্বজনদের কাছে ১৫লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তিনি। তবে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে একটি খালের মধ্যে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন তিনি।

এ সময় হৃদয়কে মরদেহ লুকাতে সহযোগিতা করেন পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত জাহিদুল। পরবর্তীতে পুলিশের তৎপরতা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মুক্তিপণ চাওয়ার সূত্র ধরে হৃদয় ও জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমতলীর একটি খাল থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ১৭জনের সাক্ষ্য ও ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রমাণ অনুযায়ী হৃদয় খানের বিরুদ্ধে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি, ধর্ষণ, হত্যা ও মরদেহ লুকানোর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া, মরদেহ লুকাতে সহযোগিতা করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জাহিদুলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজুয়ারা সিপু বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। এ কারণেই আদালত এ দৃষ্টান্তমূলক রায় দিয়েছেন। আমরা এ রায়কে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করছি।

আরো পড়ুন

বাবুগঞ্জের ইউএনও’র বদলি স্থগিতের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি।। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয়, জনবান্ধব ও মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *