শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

দৌলতখানে একই জমিতে দুই মালিকের সাইনবোর্ডে নিয়ে উত্তেজনা

দৌলতখান প্রতিনিধি।।

ভোলার দৌলতখানে বিরোধপূর্ণ জমির মালিকানা দাবিতে একসঙ্গে দুই মালিকের সাইনবোর্ড স্থাপনের কারণে দুই গ্রুপের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষাপট হলো ভোলা-বাংলাবাজার মহাসড়কের কমর উদ্দিন মসজিদ সংলগ্ন পূর্ব পাশের একটি জমি। একই জমির জন্য দুই জন মালিকের সাইনবোর্ড সংযুক্ত করার ফলে যে কোনো সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তপাতের মতো গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বিরোধপূর্ণ জমিটি পরিদর্শন করা গেলে দেখা যায়, উত্তর জয়েনগর ইউনিয়নের কমর উদ্দিন সড়কের পাশে প্রায় সাত বছর আগে ২একর, ২৩শতাংশ জমি ক্রয় করেছিলেন নান্নু কোম্পানি, যা নান্নু ফরাজি নামেও পরিচিত। উক্ত জমির নালির ক্ষেত্রটিকে বালু দ্বারা ভরাট করে মেসার্স কমর উদ্দিন ফিলিং স্টেশন এর জন্য একটি স্থানের জন্য সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে আলোচনা করার পর জানা যায়, নান্নু কোম্পানি প্রায় আট বছর পূর্বে জমিটি অর্জন করেন এবং সেখানে একটি অস্থায়ী টিনের ঘর নির্মাণ করে ফিলিং স্টেশনের জন্য সাইনবোর্ড দেন। নান্নুর বাড়ি চরপাতা ইউনিয়নের নলগোড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজী বাড়িতে।

গত ৭সেপ্টেম্বর, নান্নুর অধিকারিত জমিতে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী দর্জিবাড়ির বাসেদের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রি বায়না সূত্রে ১১৯ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়। এই বিষয়টি জমির মালিকানা নিয়ে বিবেদমান দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

নান্নু কোম্পানি জানিয়েছেন যে, তিনি চট্টগ্রামের মমিন ট্রান্সপোর্টের মুমিন থেকে ১একর ২৮শতাংশ এবং ২বছর আগে মনিরুজ্জামান থেকে ৯৪.৬০ পয়েন্টে মোট ২একর ২৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নামজারি করা জমিতে নিয়মিত খাজনা প্রদান করেন এবং সেখানে একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। নান্নু আরো জানান যে, বাছেদ গং রাতের বেলা বাড়িতে গিয়ে তাকে হুমকি ও ভয় দেখায় এবং তার তৈরি টিনশেড ঘর এবং সাইনবোর্ড অপসারণ করে। তিনি বলেন যে, প্রতিপক্ষ আদালতে জমির ওপর নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন। বর্তমানে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা ওই নিষেধাজ্ঞার আবেদন পুনরায় আদালতে দাখিল করেছেন।

অপরদিকে, প্রতিপক্ষ বাছেদ মিয়া জানান, তিনি গত আগস্টের মাসে ২০২৫ সালে মৃত হারুন মোল্লার স্ত্রী জমির মালিক ইরানি বেগমের সঙ্গে দেয়া জমির রেজিস্ট্রি বায়না অনুযায়ী ১১৯ শতাংশ জমির মালিক হিসেবে ওই জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপন করেছেন।

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো পড়ুন

বাবুগঞ্জের ইউএনও’র বদলি স্থগিতের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি।। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয়, জনবান্ধব ও মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *