মাইদুল ইসলাম শফিক।।
কৃষক দল নেতা লতিফ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি তুহিন হাওলাদার(৫০)কে গ্রেফতার করেছে বানারীপাড়া থানা পুলিশ।
২৯সেপ্টেম্বর, সোমবার ভোর ৭টায় ভোলা জেলার দৌলতখান থানার উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন জনৈক মনির হোসেনের ভাড়াটিয়া বাসা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
থানা সুত্র জানায়, কৃষকদের নেতা লতিফ হত্যা মামলার ২নম্বর আসামি তুহিন ভোলায় অবস্থান করছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২৮শে সেপ্টেম্বর রাতভর অভিযান শেষে ২৯শে অক্টোবর, সোমবার ভোর ৭টার সময় লবণসাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপরিদর্শক মো: আরাফাত হোসেন হাসান’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ভোলা জেলাধীন দৌলতখান থানার উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন জনৈক মনির হোসেন’র ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ হত্যার পরে তুহিন হোসেন দৌলতখান থানার উত্তর জয়নগর এলাকায় তার বোন-ভগ্নিপতির ওই ভাড়াটিয়া বাসায় আত্মগোপন করেছিল।
তুহিন হাওলাদার উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের করফাকর গ্রামের মৃত সালে সামসুল হাওলাদারের ছেলে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার বিকেলে কথা কাটাকাটির জেরে বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের করফাকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ব্রিজের উপর একই এলাকার দেলোয়ার হোসেন ঘরামী ও তার জামাতা তুহিনের নেতৃত্বে ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ২৮সেপ্টেম্বর, রবিবার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ সৈয়দকাঠীর করফাকর গ্রামের তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ওইদিন (২৮সেপ্টেম্বর) নিহত কৃষক দল নেতা আব্দুল লতিফের স্ত্রী বাদী হয়ে একই এলাকার দেলোয়ার ঘরামী, তার জামাতা তুহিন হাওলাদার, সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মো: ফেরদৌস, জামায়াত নেতা নাজেম হাওলাদার সহ ৯জন নামধারী ও ১৫/২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।