শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

কলাপাড়ায় বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা, তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, কলাপাড়া

বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ, প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব রজপাড়া গ্রামের মো. রাসেল আকন (২২) মামলাটি কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করেন। যা সি.আর মামলার নং ১৪৬২/২০২৪।

আসামিরা হলেন- মো. মিলন হাওলাদার (৩৬), তার পিতা মো. আ. মালেক হাওলাদার (৬০) এবং সহযোগী মো. হেমায়েত হোসেন হিমু (৪৬)। প্রথম দুইজন টিয়াখালীর পশ্চিম রজপাড়ার বাসিন্দা এবং তৃতীয় আসামি বর্তমানে ঢাকার শান্তিনগর এলাকায় বসবাস করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা উচ্চ বেতনে কাতারে পাঠানোর কথা বলে বাদীর কাছ থেকে ধাপে ধাপে তিন লাখ টাকা নেন। ২০২৩ সালের ৭ মার্চ বাদীর বাড়ির সামনে বারান্দায় প্রথমে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে দুই লাখ সত্তর হাজার টাকা নেন। পরে কাগজপত্রের নাম করে আরও ৩০ হাজার টাকা নিতে সক্ষম হয়। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর আসামিরা আর কোনো বিদেশযাত্রার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেনি এবং সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।

পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কলাপাড়ার উকিলপট্টিতে তিনটি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে দুই মাসের মধ্যে কাতারে পাঠানো অথবা তিন লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকারনামা লিখে দেয় আসামিরা। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতির কোনো বাস্তবায়ন করেনি তারা।

সর্বশেষ গত ২ নভেম্বর কলাপাড়া ব্রিজের উত্তরপাড়ের মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডে বাদী টাকা চাইলে আসামিরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বাদী আদালতের কাছে আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা (ড/অ) ইস্যুর আবেদন করেছেন। মামলা আদালতে গ্রহণ হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়াও প্রতারক মো. মিলন হাওলাদার বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পূর্ব রজপাড়া গ্রামের ইসমাইল আকনের ছেলে হাসানের কাছ থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ এবং বাদররতলী গ্রামের আব্দুর রশিদ পল্লানের ছেলে শহিদুল ইসলাম কাজ থেকে ২ লক্ষ বিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

আরো পড়ুন

পটুয়াখালীতে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, এলাকায় চাঞ্চল্য

পটুয়াখালী প্রতিনিধি পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের হরতকিবাড়িয়া গ্রামে এক কিশোরীর হঠাৎ ছেলেতে রূপান্তরের খবর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *