আমতলী প্রতিধিনি
বরগুনার আমতলী উপজেলার ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা বার্ষিক পরীক্ষাসহ সব ধরনের দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। তবে কিছু বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক একাই পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে গত ৮ নভেম্বর থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন শুরু করেন। পরবর্তীতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে সহকারী শিক্ষকদের ১১ তম গ্রেড প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যা প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফাই ফেইসবুক পেইজে প্রেস নোট রিলিজ হয়। এর ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতিতে কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত হয়। তবে, ২০ দিন পার হলেও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে আবারও আন্দোলনে নামেন তারা।
এর প্রভাব পড়েছে বার্ষিক পরীক্ষায়ও। সোমবার উপজেলার সব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা বর্জন করেন। বিকল্প হিসেবে প্রধান শিক্ষকরা পরীক্ষা নিলেও অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
কর্মবিরতীতে অংশগ্রহণকারী সহকারী শিক্ষকরা বলেন, ন্যায্য দাবির প্রতি সরকারের উদাসীনতার কারণেই তারা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতিতে গেছেন। তাদের দাবি, ১১ তম গ্রেডের প্রতিশ্রুতি যেন দ্রুত বাস্তবায়ন লক্ষে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের মিডিয়া সেল এর আহ্বায়ক আখতার জেড খান জানান, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলন আরও কঠোর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বার্ষিক পরীক্ষার সময় হওয়ায় শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন, তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে। আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা পরিক্ষা নিচ্ছেন।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।