চরফ্যাশন প্রতিনিধি
মুসল্লী সেজে বেল্লাল হোসেন নামে এক কৃষকের শতাধিক সুপারী ও কলা গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা সোলাইমান ও আবুল কালামসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে। কৃষক বেল্লালও একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। গত শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালীন সময়ে আমিনাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে গাছ কাঁটার এই ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় একটি কৃষি জমিতে অভিযুক্তদের সাথে কৃষক বেল্লালের পরিবারের দীর্ঘ বছর ধরে বিরোধ চলছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। কৃষক বেল্লাল বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় বছর ধরে আমি এই জমিতে চাষাবাদ করে ভোগ-দখলে আছি। আমি চলতি মৌসুমে ধান চাষ করেছি এবং জমির পশ্চিম সীমানায় শতাধিক সুপারি ও কলা গাছ রোপণ করেছি।
সোলাইমান, আবুল কালাম, সবুজ, নুর ইসলাম, আলী পন্ডিত, মিল্লাত পন্ডিতসহ পনেরো থেকে বিশজন সহযোগী মিলে মুসল্লীর বেশ ধরে জুমার নামাজ চলাকালে তারা ধারালো দা-ছেনি দিয়ে আমার রোপন করা শতাধিক সুপারী ও কলা গাছ কেটে ফেলে চলে যায়। তারা জালিয়াতি করে নিজেদের নামে উক্ত জমি রেকর্ড করে নেয়।’
গাছ কাঁটার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সোলাইমান বলেন, ‘আমরা ১০২ বছর পর্যন্ত ভোগদখলে আছি। গাছ কাঁটার সময় আমি ছিলাম না।’ গাছ কাঁটার সময়ে এক প্রতিবেশীর মোবাইল ক্যামরায় তোলা একটি স্থিরচিত্রে আপনাকে গাছ কাঁটতে দেখা গেছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমাকে দেখা গেলেতো কিছু করার নাই।’ এ কথা বলেই তিনি কল কেটে দেন।
আরেক অভিযুক্ত সবুজ বলেন, ‘গাছ কে কেটেছে তা আমি জানি না। তবে আমাদের জায়গায় আমরা গেছি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বেল্লাল জমি দখল নিয়ে জোর পূর্বক গাছ রোপণ করেছিলো এবং বেল্লাল আদালতে মামলা করেছে। এটা আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি।’
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত খলিলুর রহমানবলেন, ‘এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।