নিজস্ব প্রতিবেদক॥
এডভোকেট নজরুল হক অনু। বাবা মরহুম আনোয়ারুল হক মেঘু মিয়া, কাচিয়া মিয়া বাড়ী পরিবারের সদস্য। মা মরহুমা বেগম সুলতানা রাজিয়া ইলিশা নাদের মিয়া পরিবারের সদস্যা।
নজরুল হক অনুর জন্ম ১৯৬৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারী শহরের ওয়েস্টার্ণ পাড়ায়। স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ইউসুফ মঞ্জিল, ওয়েস্টার্ণ পাড়া, ৬ নং ওয়ার্ড, ভোলা পৌরসভা, ভোলা।
ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও ভোলা সরকারি কলেজের ছাত্র নজরুল হক অনু বরিশাল ব্রজমোহন (বি.এম) কলেজ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম. এ ডিগ্রি লাভ করেন এবং ঢাকার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) থেকে এলএলবি ডিগ্রি নিয়ে ২০১০ সালে বার কাউন্সিলের আইনজীবী সনদ লাভ করেন। তিনি ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। স্ত্রী ঝালকাঠির সাহিদা আক্তার সুমনা ভোলা সরকারি নজরুল্লাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বড় ছেলে নুওয়াইসির হক রিদম ২০২৪ সালে ভোলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচ.এস.সি তে উত্তীর্ণ হয়েছে।ছোট ছেলে রিনাফ মো. এনামুল হক ভোলা সরকারী স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে পরীক্ষা দিয়েছে।
১৯৮৪ সালে ভোলা কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি বামপন্থী ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং সাপ্তাহিক নতুন বাংলার ভোলা শিক্ষাঙ্গণ প্রতিনিধি হিসাবে কাজ শুরু করেন। একই বছর সাপ্তাহিক ভোলাবাণী প্রকাশিত হলে তিনি ভোলাবাণীর স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে যোগ দেন পরবর্তীতে সাপ্তাহিক দ্বীপব্ণীর চীফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন করেন। সম্পাদনা করেন অসংখ্য সাহিত্য ম্যাগাজিন। ৮০’র দশকে তিনি ম্যাগাজিন ঘাসফুল প্রকাশ করেন। ২০১০ সালে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় দৈনিক দক্ষিণ প্রান্ত পত্রিকা।
নজরুল হক অনু ৯০’র দশকে জনপ্রিয় দৈনিক জনকণ্ঠের আলোচিত সাংবাদিক ছিলেন।২০০৬ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের সেরা সাংবাদিক নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি দৈনিক রুপালি, দৈনিক সকালের খবর, দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল, দৈনিক বরিশাল বার্তা, দৈনিক আজকের বার্তাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিনিধি ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ২০০১ সাল থেকে ম্যাস লাইন মিডিয়া সেন্টার এম.এম. সি’র প্রশিক্ষক হিসাবে ভোলা বরিশাল পটুয়াখালী ও বাগেরহাটের সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
ভোলার সন্তান হিসেবে প্রথম সাংবাদিক যিনি কলকাতা থেকে প্রকাশিত দি কমরেড পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন, ব্রিটিশ সরকারের হুলিয়ার শিকার হয়েছিলেন সেই লুৎফর রহমান এবং ভোলার প্রথম পত্রিকা ভোলাবাণীর সম্পাদক প্রকাশক আবু সুফিয়ান বাহার ও নজরুল হক অনু একই পরিবারের সন্তান।
নজরুল হক অনু ১৯৮৪ সাল ১৯৮৪ সাল থেকে সাংবাদিক সংস্থার সঙ্গে জড়িত হয়ে থেকে সাংবাদিক সংস্থার সঙ্গে জড়িত হয়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি সংস্থার ভোলা শাখার সভাপতি ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ভোলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একজন পরিচিত মুখ, অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। স্কুল জীবন থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে শিশু-কিশোর সংগঠন চাঁদেরহাট একাডেমী ভোলার সভাপতি।
এছাড়া স্বরলিপি সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক, বরিশাল বিভাগীয় উৎসব কমিটির সদস্য সচিব ও শতদল বিকাশসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এবং বরিশাল ঢাকা ও পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় ভোলার সাংস্কৃতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।