নীহার মোশারফ, বিশেষ প্রতিনিধি
আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন একটি লাল-সবুজের পতাকা, একটি স্বাধীন দেশ। আর বাংলাদেশ লাভের পেছনে যে ত্যাগের ঘটনা তা সুমহান মুক্তিযুদ্ধ। বাংলার সর্বশ্রেণির জনসাধারণের অংশগ্রহণে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যেন একটি আলোকবর্তিকা। প্রেরণার উৎস। এই যুদ্ধের পেছনে আছে নির্মম ইতিহাস।
নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের কাহিনি। লক্ষ লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগের ফলে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। আমরা পশ্চিমাদের সঙ্গে যুদ্ধ চাইনি। আমরা চেয়েছি অধিকার। ভাষার অধিকার, কথা বলার অধিকার। বেঁচে থাকার অধিকার। সেই অধিকার পাকিস্তানি হানাদাররা দেয়নি আমাদের। একের পর এক নির্যাতন চালিয়েছে।
মা-বোনদের ইজ্জত লুট করেছে। তখন বসে থাকতে পারেনি পূর্ব বাংলার ( আজকের বাংলাদেশ) দামাল ছেলেরা। যার যা কিছু ছিল তা নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছে যুদ্ধে। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রাম করে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সারা বাংলাদেশে প্রতিরোধে মুখে তারা অনেকে পালিয়ে যায়।
বাকিরা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ভোলাতেও পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। ভোলার খেয়াঘাট, ঘুইংগারহাট, দৌলতখান, বাংলাবাজার, দেউলা, চরফ্যাশন বাজারসহ অনেক জায়গায় শত্রুদের সঙ্গে মুক্তিসেনাদের গোলাগুলি হয়।
হানাদারদের অত্যাচার-নির্যাতনে ভোলার শতাধিক বীরসেনা শহিদও হন। তবুও পিছু হটে না মুক্তিযোদ্ধারা। ৯ ডিসেম্বর শেষ পর্যন্ত পাক হানাদাররা টিকতে না পেরে ভোরের দিকে ভোলা থেকে লঞ্চযোগে পালিয়ে যায়। ১০ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় ভোলা জেলার মাটি। সেদিন ভোলার সর্বস্তরের জনগণ আনন্দ- উল্লাসে মেতে ওঠে। ইতিহাসের পাতায় লেখা হয় ভোলা হানাদারমুক্ত দিবস।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।