বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥
বরগুনার বেতাগীতে ভাতিজার দায়ের কোপে প্রতিবন্ধী চাচা খুন হয়েছে। খুন করার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে ভাতিজা ওহিদুজ্জামান আটক। থানায় হস্তান্তর।
জানা যায়, উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের উত্তর করুণা গ্রামে শুক্রবার বিকেলে আব্দুর রহমানের পুত্র ওয়াহিদুজ্জামান সাথে নিজ বাড়ি আঙ্গিনার মিষ্টি আলুর লতা কাটা নিয়ে আপন চাচা প্রতিবন্ধী সুলতান হাওলাদার এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওহিদুজ্জামান তার হাতে থাকা দা দিয়ে চাচা সুলতান হাওলাদারকে এলোপাতারি কোপায়। এতে সুলতান হাওলাদার(৫৫) মারাত্মকভাবে আহত হয়। বাড়ির লোকজন সুলতান হাওলাদারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। আহত সুলতান হাওলাদার এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক পা হারানো সুলতান হাওলাদারের মৃত্যু হয়। পরে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য পাঠান।
এদিকে হত্যাকারী ওহিদুজ্জামান ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে স্থানীয় জনতা আটক করে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে বেতাগী থানার পুলিশ ওহিদুজ্জামানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহত সুলতান হাওলদারের পুত্র মো. জালাল বলেন, আমার প্রতিবন্ধী বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করছি। নিহত সুলতান হাওলাদারের দুই পুত্র ও দুই মেয়ে রয়েছে। সরেজমিনে গেলে বাড়িতে স্থানীয় লোকজনের সমাগম দেখা গেছে। সকলের মধ্যে শোকের ছায়া এবং ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, একজন প্রতিবন্ধীকে এভাবে হত্যা করায় আমরা হতভম্ব। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফারুক আহমেদ বলেন, হত্যাকারীকে আমরা গ্রেফতার করেছি। মামলা হওয়ার পর আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।