আমতলী প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের খাকদান গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুল ছাত্রীকে চানাচুর খাবারের লোভ দেখিয়ে সিদ্দিক মৃধা (৪০) ধর্ষন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে আহত স্কুল ছাত্রীকে হাসপাতাল থেকে পুলিশ উদ্ধার করে বরগুনায় ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে বরিশাল শেবাচিমে প্রেরন করে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার খাকদান গ্রামের প্রতিবন্ধি স্কুল ছাত্রীকে (৯ ) বৃহস্পতিবার বিকেলে চানাচুর খাবারের লোভ দেখিয়ে একই গ্রামের প্রতিবেশী ২ সন্তানের জনক মুজাফফর মৃধার ছেলে সিদ্দিক মৃধা স্কুল ছাত্রীকে নিজ বাড়ির পুকুর পারের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষন করে। শিশুটি বাড়িতে এসে তার পরিবারকে এ ঘটনা জানায়। তাৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন শিশুটিকে আমতলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। এসময় আমতলী থানার পুলিশ খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। মেয়েটির শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতেই বরগুনা থেকে তাকে বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেন চিকিৎসক।
শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে চানাচুর খাবারের লোভ দেখিয়ে প্রতিবেশী দুই সন্তানের জনক সিদ্দিক মৃধা তার বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষনের শিকার মেয়েটি রক্তাত্ব অবস্থায় বাড়ি এসে কান্নায় ভেঙ্গে পরে এবং ধর্ষনের কথা জানায়। মেয়েটির এঅবস্থা দেখে আমরা তাকে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে যাই। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে আসলে তাদের সহযোগিতায় আমাদেরকে বরগুনা হাসপাতালে নিয়ে যান।
মেয়েটির ভগ্নিপতি বলেন, গোপনাঙ্গ ছিরে যাওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরন হচ্ছে। কোন অবস্থায় রক্ত বন্ধ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় বরগুনা থেকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেওয়ায় আমার শালীর শরীরে এক ব্যাগ রক্তও দেওয়া হয়েছে। তিনি এঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান খাঁন বলেন, মেয়েটির প্রচুর রক্তক্ষরন হচ্ছিল। তাকে জরুরী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের সহযোগিতায় ধর্ষনের শিকার শিশুটিকে আমতলী হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুনেছি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বরগুনা থেকে বরিশাল শিবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। ধর্ষক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে