বাংলাদেশ বাণী ডেস্ক॥
দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাখির আঘাতের বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার সতর্কতা জারি করেছিল। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা আরও জানান, সতর্কতা জারির কিছুক্ষণের মধ্যে উড়োজাহাজটির পাইলটরা ‘মেডে’—অর্থাৎ বিপদ সংকেত—ঘোষণা করেছিলেন।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মেডে’ ঘোষণার প্রায় এক মিনিট পরই উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টা করে, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা ব্যর্থ হয়।
কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেনি যে, উড়োজাহাজটি পাখির আঘাতের কথা জানিয়েছিল কিনা, তবে তিনি জানান যে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি থেকে ব্ল্যাক বক্স (ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার) সংগ্রহ করা হয়েছে।
আজ রোববার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি রানওয়ে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। উড়োজাহাজটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন, এবং এখন পর্যন্ত ১৬৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে, যদিও দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি রানওয়েতে জোর গতিতে এগিয়ে আসছে, কিন্তু এর ল্যান্ডিং গিয়ার দেখা যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে এটি রানওয়ের শেষ প্রান্তে একটি প্রাচীরে আঘাত করে এবং সঙ্গে সঙ্গে একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর আগুনের বিশাল শিখা আকাশে উঠতে থাকে, এবং কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী বাতাসে ভেসে ওঠে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছে, পাখির আঘাতের কারণে উড়োজাহাজটির ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি হতে পারে।