সোমবার, মে ১২, ২০২৫
tazim
tazim

আগৈলঝাড়ায় নিখোঁজের ৫ দিনেও সন্ধ্যান মেলেনি স্কুল ছাত্রের

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ৫ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্র নিখোঁজের ৫ দিনেও সন্ধান মেলেনি। এঘটনায় থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার পয়সাহাটের ব্যবসায়ী ও পয়সা গ্রামের ফায়েকউজ্জামান ঘরামীর ছেলে ও সরকারী পয়সা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র তাজিম আহম্মেদ (আবু বক্কর) ১৬ জানুয়ারী সকালে স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকেলে তাজিম বাড়ি ফিরে না আসায় তার পিতা ফায়েকউজ্জামান সম্ভব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করে। এরপর ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক উত্তম কুমার বাড়ৈ ও তার বন্ধু মো. জহিরুল হককে নিয়ে নিখোঁজ তাজিমকে খুঁজতে পশ্চিম বাগধা গ্রামে তাজিমের নানা দেলোয়ার মিয়ার বাড়িতে গিয়েও তাজিমের সন্ধান পায়নি। ওই দিন রাতেই পিতা ফায়েকউজ্জামান বাদী হয়ে আগৈলঝাড়ায় থানায় সাধারন ডায়েরী করেন, যার নং-৭৪৪।

এরপরে এসআই আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ৫ দিনেও নিখোঁজ স্কুল ছাত্র তাজিম আহম্মেদকে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবার ও আত্মীয়-
স্বজন কান্নায় ভেঙ্গে পরেছে। এঘটনায় সরকারী পয়সা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উত্তম কুমার বাড়ৈ জানান, আমার বিদ্যালয়ের ছাত্র তাজিম আহম্মেদ ওই দিন ক্লাস শুরুর পূর্বে বিদ্যালয় মাঠে তাকে দেখা গেছে। সে ক্লাস করেনি, তার হাজিরা খাতায় উপস্থিতি নেই।

এব্যাপারে তাজিম আহম্মেদের মা মীম বেগম জানান, ১৬ জানুয়ারী সকালে তাজিমকে নাস্তা খেতে দিয়ে আমি সংসারের অন্য কাজ করছিলাম ও নাস্তা খেয়ে স্কুল ব্যাগ নিয়ে স্কুলের উদ্দ্যেশে বের হয়ে য়ায়। বিকাল ৩টায় বাড়িতে ফিরে না আসায় ওর বাবাকে বিষয়টি ফোন করে জানাই।
তানজিমের পিতা ফায়েকউজ্জামান বলেন, আমি স্ত্রীর ফোন পেয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক উত্তমকে ফোন দেই। সে জানায় সকালে তাজিমকে স্কুল মাঠে দেখেছি। এরপর তারাও খুজঁতে বের হয়।

এঘটনায় আগৈলঝাড়া থানার এসআই আল মামুন বলেন, সরেজমিনে গিয়ে নিখোঁজ তাজিমের পরিবার, স্কুলের শিক্ষক, নানা দেলোয়ার মিয়া ও এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেছি। তাকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আরো পড়ুন

বাংলা সাহিত্যে রবি ও রবীন্দ্রনাথ

অনির্বাণ চক্রবর্তী ।। “আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধূলির তলে সকল অহংকার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *